সাইফুল-হিমেল-পায়েল-রাজুর স্পা সেন্টারের আড়ালে চলছে জমজমাট দেহব্যবসা

রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন গুলশান জোন একটি অভিজাত এলাকা । এই এলাকায় ব্যঙের ছাতারমত গড়ে উঠেছে অবৈধ স্পা সেন্টার বা ম্যাসাজ পার্লার।
জানা গেছে, গুলশান-২ প্লাটিনিয়াম মার্কেটের তৃতীয় তলা ডায়মন্ড স্পা যার মালিক সাইফুল,রাজু, হিমেল ও শামিম এবং রোড নং ৪৭, হাউজ নং-২৫ (লিফটের ৫ম তলা) অল দ্যা বেষ্টের মালিক পায়েল। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠানে বডি ম্যাসাজের নামে শারীরিক প্রশান্তির আড়ালে উঠতি বয়সি তরুণীদের দিয়ে অবৈধ দেহব্যবসা ও মাদক দ্রব্য সেবনের অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। এসব বিষয়ে একাধিক প্রদিবেদন করলে ভূমিকা নেই গুলশান বিভাগের পুলিশের। স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ আ.লীগ সরকারের সময় গড়ে ওঠে এবং অতীতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবাধ সমাজবিরোধী কার্যক্রম রোধে গুলশান বিভাগের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বন্ধ করলেও বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠান বেশ রমরমা।
উক্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও নেই কোন প্রতিকার। শুধু তাই নয় গুলশান থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সুত্র জানা যায়, গোপন ফ্ল্যাট, রেস্ট হাউজ, গেস্ট হাউজ ও আবাসিক হোটেলসহ বিশেষ বিশেষ সুবিধা দেওয়া সেলুন, বিউটি পার্লার ও স্পা সেন্টারের ব্যাভিচারে পাপরাজ্যে পরিণত হতে চলেছে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান।
এদিকে আসাধু ব্যবসায়ী হিমেল,সাইফুল,রাজু ও মিঠু-পায়েল বলেন, এসব লেখালেখি করে লাভ নেই কারন আমরা বিষয়টি থানা থেকে শুরু করে উপর মহলের সবাই জানেন। তাছাড়া গুলশান বিভাগের গুলশান থানা থেকে শুরু করে সকলেই জানেন এবং মাসোহারা নিয়ে থাকেন এমনকি গুলশান থানার ওসি নাকি প্রতিমাসে প্রতিটি অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ লক্ষ টাকা মাসোহারা নিয়ে থাকেন বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা বলে থাকেন। এতে করে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে ।
এদিকে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হওয়ার পর গুলশান অভিজাত পাড়া যেন স্পার নামে নিরাপদ যৌন পাড়া হয়ে উঠছে। এ সকল স্পার শত-শত নারী প্রতারনা, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়াচ্ছে। স্পা করাতে আসা ব্যক্তিরা এক বার ফেঁসে গেলে আর রেহাই মিলছে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগীরা জানান, স্পা করার ভিডিও ধারন করে পরিবার কে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ সকল স্পা বা যৌন পার্লারে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুব সমাজসহ নানা পেশার লোকজন।
অশ্লীলতার এমন আগ্রাসন থেকে মুক্ত সামাজিক পরিবেশ ও পাপাচার মুক্ত সুন্দর মানব সমাজ। সেক্ষেত্রে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সর্বমহল যেনো তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখেন সেই আশা প্রত্যাশা করেন সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলে গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশের নামে বিভিন্ন অশ্লিল ভাষায় কথা বলতে দেখা যায় এবং তারা আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পন তাদের ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি কিংবা বিভিন্ন সংগঠেনের পরিচয়ে বেশ দাপটের সাথেই সমাজের অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। এবিষয়ে গত ২১/১২/২৪ ইং তারিখে গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নিকট একটি অভিযোগ দ্বায়ের করা হয় এবং ৫ কার্যদিবসে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়।