নাটোরে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জেল পলাতক আসামী গ্রেফতার

এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৬.০৫ ঘটিকায় কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন সুগন্ধা বীচ সংলগ্ন এলাকা হতে নাটোরে ১৪ বছর বয়সী কিশোর আসিফকে গলা কেটে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ১ (এক) জন জেল পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম- আব্দুল মজিদ (৩৯), পিতা- জাহেদ আলী, গ্রাম-বড় শাঐল, থানা- সিংড়া, জেলা- নাটোর।
২০০৬ সালের প্রথম দিকে আসামী আব্দুল মজিদ (৩৯) অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য স্থানীয় একজন মহিলার বাসায় প্রবেশ করলে এলাকার লোকজন তাকে ধৃত করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার একটি সালিশি বৈঠক ডাকেন। সালিশি বৈঠক ডাকার কারণে আসামী ঐ মেম্বারের উপর ক্ষুব্ধ হন। উক্ত ঘটনার জের ধরে আসামী ২০০৬ সালের ০৪ জুলাই স্থানীয় ঐ মেম্বারের ভাগিনা আসিফ কে খুর দিয়ে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছা: মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (নাটোর জেলার সিংড়া থানার মামলা নং- ০৪, তাং- ০৪/০৭/২০০৬ খ্রিস্টাব্দ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)। মামলাটির তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত চার্জশীট আমলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। মামলাটির শুনানী শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর নাটোরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামী আব্দুল মজিদ (৩৯) কে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন । আসামী হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে আটক ছিলেন (দায়রা মামলা নং-২০০/০৬, সিংড়া-০৪(০৭)০৬, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড -এর মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বন্দি নং-৩৯৮৮/এ)।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ০৬ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে কাশিমপুর কারাগারে হামলা-ভাংচুর ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে আসামী আব্দুল মজিদ (৩৯) জেল থেকে পলায়ন করতঃ আত্মগোপন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ উক্ত ঘটনায় মামলা দায়ের করেন (কোনাবাড়ি থানার এফ আইআর নং- ০৪, তারিখ-১৫/০৮/২০২৪, জিআর নং-১৪০, ধারা- ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩৫৩/২২৪/ ৪২৭/৩৩২/৩৩৩/৪৩৬/৩৪ পেনাল কোড)। আসামী জেল পলাতক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানা এলাকায় আত্মগোপনে থেকে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছিলেন। এন্টি টেররিজম ইউনিটের একটি চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই বাচাইপূর্বক আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।