ঢাকা মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২

সিনিয়র সচিবের ‘৫ কোটি টাকা’ ঘুষ নেয়ার বিষয়ে যা জানা গেল


৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:৫৬

ফাইল ফটো

জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে কেলেঙ্কারি ও ঘুষ হিসেবে ‘৫ কোটি টাকা’ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ফেইক নিউজ’ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত সিনিয়র সচিব।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইটস এ ফেক নিউজ।’

 

সিনিয়র সচিব বলেন, আমার মোবাইল হল স্যামসাং। তারা যেটা শো করেছে সেটি হলো আইফোন। আইফোন কি আমি ব্যবহার করি? আমি ব্যবহার করি স্যামসাং। কে কী দেখালো তাদের জিজ্ঞেস করবেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

 

বৃহস্পতিবার দেশের একটি দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং ‘বিতর্কিত’ দুই যুগ্ম সচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও আলী আযম মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ডিসি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। ঐ প্রতিবেদনে সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেওয়া হয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের এক পর্যায়ে নিজেকে নির্লোভ দাবি করেন সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান। টাকা-পয়সার প্রতি কোনো লোভ নেই জানিয়ে ডিসি নিয়োগে ৫ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি।

 

সম্প্রতি এক যুগ্ম সচিবের কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার একটি চেক এবং ডিসি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু চিরকুট উদ্ধার সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে যে কর্মকর্তার দিকে সন্দেহের আঙুল উঠেছিল, সেই যুগ্ম সচিবকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

 

এর আগেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঐ প্রতিবেদনকে ‘গুজব’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান।