ঢাকা মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

ইডিসিএল ঢাকা কার্যালয়ে কর্মরত জিএম এডমিন আহসান রেজার কুকীর্তি


২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৪

সংগৃহিত

# প্রধান উপদেষ্টার নিকট লিখিত অভিযোগ

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর কোম্পানীর এমডি হিসাবে নিয়োগ পান তৎকালীন গোপালগঞ্জ আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু মিয়ার মেয়ের জামাই জনাব বদরুল হুদা। এই বদরুল হুদা উনার কিছু বখাটে বন্ধু বান্ধবকে বিভিন্ন বিভাগে ব্যবস্থাপক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন। বদরুল হুদার আশীর্বাদ পুষ্ট আহসান রেজা বগুড়ায় ডেপুটি ম্যানেজার প্রশাসন হিসাবে নিয়োগ পান। বগুড়ায় থাকাকালীন এমন কোন দুর্নীতি নাই যা উনি করেন নাই । প্রথমেই উনি প্লান্ট ব্যবস্থাপকের ক্ষমতা খর্ব করে সমস্ত কিছু নিজের নিয়ন্ত্রনে নেন। সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতা ও কেনা কাটা উনি একক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। বগুড়ায় থাকাকালীন উনি ভিটিটিআই আবাসিকে ব্যাচেলর কোয়ার্টারে থাকতেন। স্ত্রীকে সাথে না রেখে এক নারীর সাথে নিয়মিত তার ফ্লাটে রঙ্গলীলা করতেন। বিনিময়ে ঐ নারীর মনোনীত একজনকে (জিতু) প্রকৌশল বিভাগে চাকরী দেন। যিনি এখনো কর্মরত। অফিসের সুন্দীর মেয়েদের সাথে ছিল তার সক্ষতা, শারীরিক সম্পর্কের বিনিময়ে তাদের প্রমোশন দেন, তাদের মধ্যে মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগের একজন অন্যতম। শুধু অফিসে নয় অফিসের বাহিরেও ছিল তার লম্পট্য। অফিসারদের সুন্দীর বউ দেখলেই তার বাসায় বেড়াতে যেতেন। মাননিয়ন্ত্রন বিভাগ এবং উৎপাদন বিভাগের দুইজন কর্মকর্তার বাসায় ছিল তার অবাধ যাতায়াত। বিনিময়ে তিনি ঐ কর্মকর্তাদের জুনিয়র অফিসার থেকে ডেপুটি ম্যানেজার পর্যন্ত পদোন্নতি দিয়েছেন। সিবিএ প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে চলত তার আর্থিক দুর্নীতি। ক্যান্টিন থেকে তিনি প্রতিদিন ৫,০০০/- টাকা নিতেন এবং কিছু টাকা সিবিএ প্রতিনিধিদের দিতে। ক্রয় বিভাগের উপর ছিল তার একছত্র অধিপত্য। কোন কেনা কাটাই তার ইচ্ছার বাহিরে করা যেত না। কলোনী এলাকার বিপ্লব নামে এক সন্ত্রাসীকে নিয়োগ দান করে স্ক্যাপের ঠিকাদার হিসাবে। কৌশলে বিপ্লবকে কম মূল্যে স্ক্যাপের মালামাল নেবার কাজ পাইয়ে দিতেন। এতে কোম্পানীর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বিপ্লব যখন মাল ডেলিভারী নিত তখন উনি ওনার প্রতিনিধির মাধ্যমে হিসাব বহির্ভূত মালামাল বের করে যাওয়ার সহযোগীতা করতেন। এছাড়াও ৪০ কেজি মালামালকে ২৫-৩০ কেজি লিখতে বাধ্য করতেন। বিপ্লবের ঠিকাদারীর মেয়াদ শেষ হবার পর বিনা টেন্ডার তাতে পুনরায় ঠিকাদার হিসাবে নিয়োগ দেন। এমডি তার বন্ধু হবার কারণে তিনি নিয়োগ বাণিজ্য করার অবাধ সুযোগ পান। নিয়োগ বাণিজ্য করে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করেন। তার এহেন কর্মকর্তার যারা প্রতিবাদ করেছেন বা তাকে পছন্দ করতেন না তাদের জন্য চাকুরী করা দুরহ ছিল। তার কাজের পর্যন্ত পদোন্নতি দিয়েছেন। প্রতিবাদ কালেই তাকে শাস্তি স্বরুপ অনত্র বদলী করা হত। কর্মীদেরকে অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হোক। বিশেষ করে ওভারটাইম প্রদানের ক্ষেত্রে অনেকেই বঞ্চিত করেছেন। শুধু বঞ্চিত করেই ক্ষ্যান্ত হননি অনেক বিনা করণে চাকুরীচুত্য করেছেন। চাকুরীচুত্যদের তালিকায় রয়েছেন বরকত উল রইচ, শামিম আহম্মেদ, নিজাম উদ্দিন, ফিরোজ প্রমুখ। চাকুরী তারা আজ মানবেতর জীবন যাপন করছেন ।

সর্বশেষ সিবিএ নির্বাচনের সময় পক্ষপাতমূলক আচরণ করার তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমান হওয়ায় তাকে খুলনা কার্যালয়ে বদলী করা হয়। সিবিএ নির্বাচন তার মনোনীত দল ক্ষমতায় এলে তিনি প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা কারখানায় জিএম এডমিন হিসেবে বদলী হন। ঢাকা কারখানায় যাওয়ার পর উনি কমপক্ষে ৫০ জনকে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে চাকরি দিয়েছেন। তার সমস্ত চাকুরী সময় জুড়ে বিএনপি নামধারী একটা গ্রুপ তাকে “দল ক্ষমতায় এলে সহোযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিতে” তার সমস্ত কাজের সহোযোগিতা করেছেন। বর্তমানে বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে তার নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। এমন একজন বিএনপি বিদ্বেষী লোককে তার কাজে সহোযোগিতা কারীরা কখনই বিএনপি লোক হতে পারেনা। এই গ্রুপ সিবিএ নির্বাচনে প্রত্যক্ষ সহোযোগিতা করেছে এবং তাদের নিকট থেকে সুবিধা নিয়েছে নির্বাচন পরবর্তী বিজয় অনুষ্ঠানে ছবিতে তাদের উপস্থিত লক্ষনীয়। বর্তমানে সেই দালাল চক্র আবার বিএনপি খাসালোক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। এই গ্রুপ দলনেতা হচ্ছেন ফজলুল হক নামের একজন কর্মকর্তা, যার বাড়ী বগুড়া গাবতলীতে। সিবিএ নির্বাচন সহোযোগিতা করার পুরষ্কার স্বরুপ তিনি এক বছর আগেই পদোন্নতি পেয়ে উপ ব্যাবস্থাপক হয়েছেন। বর্তমানে লালু এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে আবার প্রমোশন পেয়ে ব্যবস্থাপক হয়েছেন। ছেলেকে ঢাকা ইডিসিএল এ পাঠিয়ে চাকুরী পাইয়া দিয়েছেন। তার এই সমস্ত কর্মকান্ডে সরাসরি সহোযোগিতা করেছেন জি.এম এডমিন আহসান রেজা।

এই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন মাহফুজার রহমান, মারুফ, বেনজির, নসের আঃ রহিম প্রমুখ । দেশে সব পরিবর্তন হলেও ইডিসিএল এ কোন পরিবর্তন হয়নি।

আওয়ামী আমলে নিয়োগ প্রাপ্তরা এখনো বহাল তবিয়তে উপরের চেয়ার গুলোতে চাকুরী করছেন। শুধু চাকুরীই করছেন না তারা সম্প্রতি নিজেদের পছন্দমত স্থানে বদলী পদোন্নতি সর্বই পাচ্ছেন। অথচ এই কর্মকান্ডের কোন প্রতিবাদ করা যাচ্ছে না। বিএনপি নামধারী উল্লেখিত দালালদের কারণে। এসেনসিয়াল ড্রাগসে কর্মরত সাধারণ শ্রমিক কর্মকর্তা যারা অন্তরে নিরপেক্ষ দেশপ্রেমী ধারণ করেন তারা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চায় ।

এ বিষয়ে এহসান রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।