কলির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

প্রতারণার অভিযোগে রাবেয়া আক্তার কলির বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক ভুক্তভোগী। প্রতারণা মামলায় রাবেয়া আক্তার কলিকে ২ নং আসামি করা হয়।
মামলার ২ নং আসামি রায়েবা আক্তার কলি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকারহাট বাজার সংলগ্ন পেটমানিকা গ্রামের হানিফের মেয়ে। রায়েয়া আক্তার কলি বর্তমানে ঢাকা ডেমরা থানার মুসলিম নগর এস. এম. সি. স্পেশাল প্রাইভেট হাসপাতাল সংলগ্ল জুলেখার বাড়ীর ২য় তলায় দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটের সাবলেট ভাড়টিয়া হিসেবে বসবাস করছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার পাঁচ বিবি গ্রামের ওয়াজিউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে মেরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়নগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যাহার ধারাঃ- ৪০৬/৪২০/৫০৬ (ii)দঃ বিঃ।
মামলার অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, রাবেয়া আক্তার কলির ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে গত-০২-০৫-২০২৩ ইং তারিখ রেজিঃকৃত ভাবে বিবাহ হয় মামলার বাদীর সাথে। বিবাহের পর থেকেই বাদীর কাছ থেকে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করার নেশা ছিল রাবেয়া আক্তার কলির। তাদের বনিবনা না হওয়ায় গত ২৮-০৮-২০২৩ ইং তারিখ দেনমোহর পাওনা বাবদ ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাদের। বিবাহ বিচ্ছেদের চুক্তি নামায় কারো বিরুদ্ধে কোন পক্ষই কোন মামলা অথবা প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারবেনা বলে অঙ্গীকার নামা লেখা হয়। মামলার বাদীর কাছ থেকে চুক্তি অনুযায়ী ধার নেওয়া ২০ লক্ষ টাকা আসামী রাবেয়া আক্তার কলি ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও
অঙ্গীকার অনুযায়ী বাদীর পাওনা ২০ লক্ষ টাকা যড়যন্ত্র মুলক মামলার ২ নং আসামি রায়েয়া আক্তার কলিসহ সকল আসামীরা ওই টাকা আত্মসাৎকরেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয় ২ নং আসামী রাবেয়া আক্তার কলি দাঙ্গাবাজ, চাঁদা আদায়কারী ও টাকা আত্মসাতকারী। মামলার বাদী মেরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মামলার ২নং আসামি রাবেয়া আক্তার কলির একাধিক বিবাহ হয়। রাবেয়া আক্তার কলির প্রথম স্বামী রুবেল নামক যুবকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় কলি। কাবিনের সিরিয়াল অনুযায়ী তিনি ৩ নং স্বামী ছিলেন। বর্তমানে আবুল কালাম আজাদ নামক যুবককে স্বামী দাবী করে কলি। আবুল কালাম তার ৪ নং স্বামী। রাবেয়া আক্তার কলির বর্তমান দাবীকরা স্বামীও প্রতারনা মামলার আসামি।
এছারাও তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, তার কাছ থেকে নেওয়া ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করতে বর্তমান পরিচয়দানকারী রাবেয়া আক্তার কলির স্বামী আবুল কালামসহ সকল আসামিরা যড়যন্ত্র মুলক সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে।
কলির গ্রামের বাড়ি মানিকারহাট বাজার এলাকার স্থানীয়রা জানান, ট্রাক চালকের মেয়ে কলি বর্তমানে ঢাকায় থাকেন। প্রাইভেটকার যোগে আসতেন ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে। হঠাত আনুমানিক ২৩ বছরের কলি এত টাকা কোথায় পেলেন এমন প্রশ্ন? অনেকের।
তবে রাবেয়া আক্তার কলি ঢাকায় কি কাজ করছেন? এমন প্রশ্ন করে বাংলাদেশ গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিএসবিসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে পারে বলে জানান তারা। এদিকে রাবেয়া আক্তার কলির কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে মিরাজ নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।