ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৬ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জাবির ধর্ষণকাণ্ডের নতুন তথ্য দিল র‌্যাব


৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫০

সংগৃহিত

আর্থিক লেনদেন নয়, মাদক ব্যবসার অবাধ সুযোগ দিতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই হরহামেশাই ঘটছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। এ ঘটনার মূল হোতা বহিরাগত মামুন মাদক কারবারের জন্য প্রায়ই বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করত।

খন্দকার আল মঈন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। কিছুটা উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছে ভুক্তভোগী নারীকে।

ঠিক ১৫ মিনিট পরেই হলের বাইরের আরেকটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় ভুক্তভোগীর স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করছে অভিযুক্তরা।

সারা দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভেতরে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ও সৃষ্টি হলে তৎপরতা বাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বুধবার রাতে রাজধানীর ফার্মগেট ও নওগাঁ থেকে ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা মামুনুর রশিদ মামুন ও সহায়তাকারী মুরাদকে গ্রেফতার করে র্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দীর্ঘদিন ধরে একই ফ্ল্যাটে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বসবাস করত মূল হোতা মামুন। এরই মাধ্যমে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী জাহিদের সঙ্গে মাদক বিক্রির সখ্যতা দক্ষতা গড়ে ওঠে মামুনের।

ব্রিফিংয়ে র্যাব আরও জানায়, ধর্ষণ মামলার এক নম্বর আসামি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাদক কারবারিসহ নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকত চক্রের মূল হোতা৷

শুধু এই ঘটনা নয়, ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্জন এলাকায় প্রায়ই ধর্ষণসহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও লোকলজ্জার ভয়ে অভিযোগ করেন না অনেকেই বলে জানায় র্যাব৷