ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

গুলশান বনানীতে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধের দাবি


১১ জুলাই ২০২৩ ১৮:৫৩

ছবি সংগৃহীত

অভিযাত এলাকা গুলশান বনানীতে লেডি গ্যাংয়ের বেপোরায় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে। বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা প্রকাশ্যই অনৈতিক কর্মকান্ডসহ মদ জুয়ার আসর জমাচ্ছে। বেশি ভাড়া পাওয়ায় মালিকরা বাসা ভাড়া দিয়ে তাদের এ অনৈতিক কর্মকান্ডকে উৎসাহিত করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন তাদের এই তৎপরতায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভয়ে তাদের নাম দিয়েছে লেডি গ্যাং। তবে এসব কর্মকান্ড বন্ধের জন্য পুলিশ কমিশনারের নিকট লিখিত আকারে দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার (১০ জুলাই) লিখিত আকারে এ দাবি জানানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গুলশান বনানীতে এসব অপকর্মের মুল হোতা কুদ্দুস ও বাহারকে প্রধান করে একটি নারী চক্রের সিন্ডকেট তৈরি করে। এরা হলো হাসি, সুলতানা ওরফে সুমনা, লাবনী আক্তার ইভা, জারা, মেঘলাসহ আরো অনেকে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের লেডি গ্যাং হিসেবেই চেনে। গুলশান বনানী এলাকায় যত ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড রয়েছে সবগুলোই তারা করে থাকে। এরা স্পা সেন্টারের আড়ালে অনৈতিক কার্যকলাপ, সন্ধ্যায় ডিজে পার্টি সাথে মাদকের জলসা এবং জুয়ার আসর বসাায়। গভীর রাত পর্যন্ত এদের বেপরোয়া চলাফেরায় স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ।

এতে করে এই এলাকার একদিকে যেমন সামাজিক পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে তেমনি নিরাপত্তায়ও হুমকি হয়ে উঠছে। কুটনৈতিক এলাকা হিসেবে যেখানে অগ্রাধিকার বলেই নিরাপত্তা কঠোর হওয়ার কথা সেখানে প্রকাশ্য এসব কর্মকান্ড নিরাপত্তা নাজুক করে তুলছে।

লিখিত ওই দাবিতে বলা হয়েছে, এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে যখনই কেউ প্রতিবাদ করেছে তখনই নাজেহাল করা হয়েছে। এসব নাজেহাল থেকে বাদ পড়েনি সাংবাদিকরাও। বিশেষ করে ওই সকল গ্যাংয়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে আবু জাফর ও সুমন ওরফে জাহাঙ্গীর। যখন কেউ প্রতিবাদ করে তারা এদের দিয়ে নাজেহাল করে থাকে। এক শ্রেণির পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে এরা আতংক হয়ে দাড়িয়েছে ।

গুলশানের স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, প্রকাশ্য এসব পড়তে হচ্ছে।
তিনি এসব বন্ধে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। শুধু এসব ব্যবসা বৈধ কিনা বা তাদের কিধরনের ব্যবসা এবং কেন তারা সকল মহলকে ম্যানেজ করে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন থাকে সেলুনের নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এসব অপরাধ করে আসছে। কিন্তু তার প্রাচার প্রচারনা চালিয়ে আসছেন স্পা ও ম্যাসাজ পার্লার। এর আড়ালে চলছে বিভিন্ন কৌশলে এ অনৈতিক কর্মকান্ড।