ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১

বায়না মূল্যেই ফ্ল্যাট দখল কৃষি কর্মকর্তার


১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৩:৫৭

ফাইল ছবি

পুরো টাকা না দিয়ে শুধুমাত্র বায়নায় ফ্ল্যাট দখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হোসনো আরা নামের এক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে। ফ্ল্যাটটির ৬০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হলেও ১০ লাখ টাকা বায়নার পর আর কোন টাকাই দেননি তিনি। টাকা দেয়ার অসংখ্যবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৪৩ মাস যাবৎ তিনি ফ্ল্যাটেই বসবাস করছেন। টাকা চাইলেও নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। এমন পরিস্থিতি বেওয়েষ্টার্ন ডেভোলপমেন্ট কোম্পানি তার বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, রাজধানীর মনিপুরি পাড়ার ফ্ল্যাট নং-সি/৭, ওয়েস্টার্ন ভিউ, বাড়ী নং-২০/এ/বি, মনিপুরি পাড়া, গেট নং-৩, তেজগাঁও, আয়তন ১১৫৮ বর্গফুট ক্রয় করার জন্য ৬০ লক্ষ টাকা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে ১০ লক্ষ টাকা বায়না হিসাবে পরিশোধ করেন হোসনে আরা । বিগত ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি তেজগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ১৮৬নং রেজিস্ট্রি বায়না দলিল হয়। পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে ফ্ল্যাটের মূল্যের অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে ফ্ল্যাটটি রেজিস্ট্রি করে নিবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ হন। কিন্তু কোম্পানির নানা টাকা পরিশোধ এবং রেজিষ্ট্রেরি করার বারবার অনুরোধ সত্বেও তিনি কর্নপাত করেননি। এক পর্যায়ে তিনি অশালিন ও কুরুচিপপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর হুমকি প্রদান করতে থাকেন।

কোম্পানির এজিএম আবু সায়েদ সিদ্দিকি অভিযোগ করে বলেন, ফ্ল্যাট ক্রয়ের বায়না চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও হোসনে আরা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধ ভাবে ফ্ল্যাটটি দখল করে রেখেছেন এবং কোনরূপ ভাড়া পরিশোধ না করে ফ্ল্যাটটি ৪৩ মাস যাবত ভোগ-দখল ও ব্যবহার করছেন। ফ্ল্যাটটির রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্ল্যাটটির ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলে ও কোন ভাড়াও প্রদান করেননি। এমনকি ফ্ল্যাটের কোন সার্ভিস চার্জ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানি বিল এবং সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্স প্রদান করেননি।

তিনি বলেন, ৪৩ মাসে তিনি বহুবার টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেননি। এখন আমরা তার দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। এতে কাজ না হলে আমরা মামলা দায়ের করবো।
ওই ভবনের ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, গত তিন বছরের অধিক সময়ে এ বিষয় নিয়ে বহুবার বিচার সালিশ হয়েছে কিন্তু কোন কাজই হয়নি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, হোসনে আরা এবং তার স্বামী ওবায়দুর রহমান খুবই ধূর্ত প্রকৃতির ব্যক্তি। শিক্ষিত অসভ্য। এত লোক বিষয়টি মিমাংসার জন্য এসেছে কিন্তু তিনি কারও কথাই রক্ষা করেননি।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসনে আরা বলেন, টাকা পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। কিন্তু তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরাও কিছু বলার আছে। তারা যে পথে চলছে চলুক আমিও আমার পথে চলবো।