ঢাকা সোমবার, ৫ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী পাগলা বাবু ডকাতি মামলায় গেপ্তার


২৯ এপ্রিল ২০২১ ২২:২৯

পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ডান হাত খ্যাত মনির হোসেন বাবু ওরফে পাগলা বাবুকে এবার ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।

গেল বুধবার রাজধানীর পল্লবীর সিরামিক মাঠ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

গত ২১ মার্চ ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়াকালে পল্লবীর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন বাবুর ডাকাত দলের ৩ সদস্য শরিফ, ডাশা ও আরিফকে গ্রেপ্তার করেন পল্লবী থানার এসআই তাপস কুমার কুন্ডু। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় বাবুকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তখন থেকে পলাতক আসামি বাবুকে গ্রেপ্তার করতে তৎপরতা শুরু করে পল্লবী থানা পুলিশ। অবশেষে গেল বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিরামিক এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করে পরের দিন আদালতে পাঠায় পুলিশ।


এর আগে পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনার পর এক স্থানীয় কাউন্সিলরের ফোনালাপে চাঁদার ১ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বাবু। ওই সময় এক যুবলীগ নেতাকে খুন করার পরিকল্পনার কথাও অকপটে স্বীকার করে বাবু। এরপর ফোনালাপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিযান চালিয়ে বাবুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি দল। কিন্তু প্রভাবশালী নেতাদের মদদে কিছুদিন পরেই জামিনে বেরিয়ে আসে বাবু।

অভিযোগ রয়েছে, বিত্তশালী ব্যক্তিদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন ও জামিলের কাছে পাঠাতো বাবু। পরে মামুন ও জামিল সেগুলো নম্বরে ফোন দিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করতো। দিতে না চাইলে প্রথমে হুমকি ও পরে তাদের হত্যা করত এ চক্র।

চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকলেও পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী বাতেনের ভাতিজা হওয়ার সুবাদে বাবুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করত না কেউ । তার সব নির্যাতন নিরবেই সহ্য করতে হত পল্লবীর বাসিন্দাদের।

বাবু গ্রেপ্তার হওয়ায় অনেকটাই আনন্দিত পল্লবীর সাধারণ মানুষ। তাকে গ্রেপ্তার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী ওয়াজেদ আলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

বাবুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার তদন্ত ওসি আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, গত ২৩ এপ্রিল পল্লবীর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাঠানো হয় আদালতে। সে জামিন পেলে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তাকে জামিন না দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

প্রসংগত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকার ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল।

মামুনের গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই দিশেহারা হয়ে ডাকাতিকে নতুন পেশা হিসেবে বেছে নেয় বাবু এমনটাই জানিয়েছেন পল্লবীর বাসিন্দারা।