এই নাসিরের টার্গেটও সুন্দরী মেয়েরা

ধনাঢ্য পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। একেক সময় একেক পরিচয়। কখনো এসএসএফ’র সহকারী পরিচালক আবার কখনো বড় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। একেক জায়গায় এমন একেক পরিচয় দিতেন পাবনার নাসির উদ্দিন বুলবুল।
অবশেষে এক মেয়ের বাবার সঙ্গে এসএসএফ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরাশায়ী হলেন নাসির। সঙ্গে তার সহযোগী মনির হোসেনকেও আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকালে গণভবন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এমন এক সময় পুলিশ এই নাসিরকে গ্রেফতার করলো যখন ক্রিকেটার নাসিরের বিয়ে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
রোববার বিকালে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, নাসির আসলে একজন প্রতারক। তিনি নিজেকে কখনো এসএসএফ’র সহাকারী পরিচালক, আবার কখনো নামি-দামি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন। নিজের বিলাসবহুল জীবন বোঝানোর জন্য একেকদিন একেক পোশাক পড়তেন। আলাদা আলাদা ঘড়ি ব্যবহার করতেন। এমন পোশাক-আশাক ব্যবহার করে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন নাসির। এক মেয়ের বাবার সঙ্গে এসএসএফ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করার সময় তাকে আটক করা হয়।
ডিসি হারুনুর রশিদ আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন নাসির। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য জানা যাবে।