ঢাকা রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১

এএসপি আনিসুলকে হত্যা করা হয়েছে -ডিসি হারুন


১০ নভেম্বর ২০২০ ২০:২৯

ছবি- সংগৃহিত

রাজধানীর মানসিক হাসপাতালে কর্মচারীদের মারধরে এএসপি আনিসুল করিমের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে তেজগাঁও জোনের উপপুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।মারধরের ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনার পর তার মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলছে পুলিশ।

হারুন অর রশীদ বলেন, এএসপি আনিসকে মারধরের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, ব্যবস্থাপনার জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকারি হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

এছাড়া, মাইন্ড এইড নামের ওই বেসরকারি হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: হাসপাতালের কর্মচারীদের মারধরে এএসপির মৃত্যু, ভিডিও প্রকাশ

গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরের মাইন্ড এইড নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে মৃত্যু হয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুল করিমের।

হাসপাতালের অ্যাগ্রেসিভ ম্যানেজমেন্ট কক্ষের ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায়, হাসপাতালে ৬-৭ কর্মী টেনেহিঁচড়ে ওই কক্ষের মধ্যে নিয়ে আসে আনিসুলকে। সেখানে তাকে কয়েকজন চেপে ধরে রাখতে দেখা যায়। একই সঙ্গে কয়েকজনকে তাকে কনুই দিয়ে আঘাত করতে থাকেন।

দীর্ঘক্ষণ নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকলেও আনিসুলের চিকিৎসার ব্যাপারে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে তাকে শ্যামলী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।