ঢাকা বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দেশে নতুন মাদক ‘আইস’ এর আরো একটি বড় চালান আটক


৫ নভেম্বর ২০২০ ০৬:২৬

সংগৃহিত

দেশে নতুন মাদক ‘আইস’ এর আরো একটি বড় চালান আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার গোয়েন্দা বিভাগের প্রেরিত অভিযানে বিপুল পরিমান ‘আইস’ জব্দ করে গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। একই সঙ্গে এর সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটকও করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাতে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনও ডাকা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

জানা যায়, ইয়াবা ট্যাবলেটের তুলনায় ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী নতুন মাদক ‘আইস’, যার পূর্ণ নাম ক্রিস্টাল মিথাইল অ্যামফিটামিন। এটি ১০ থেকে ১২ বার সেবনে একজন মানুষের মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে যেকোনও ব্যক্তি আত্মহত্যাও করতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ‘আইস’ মাদকসহ রাকিব নামের এক যুবককে গ্রেফতারের পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ চক্রের কথা প্রথম জানতে পারে। এ ঘটনার পরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আইস চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের গ্রেফতারের পর জানতে পারে এ মাদক সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মূলহোতা হাসিব বিন মোয়াম্মার রশিদগত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ৫ গ্রাম আইস মাদকসহ রাকিব নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। আইস মাদকের বাজার যাচাই ও তৈরি করতেই তাকে এই মাদক দিয়েছিল একটি চক্র। রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলার ৭/এ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বরের নিজ বাড়ির বেজমেন্টে ল্যাব বসিয়ে আইস তৈরি করছিল হাসিব বিন মোয়াম্মার রশিদ।

বাংলাদেশে প্রথম আইস মাদকের উৎপাদন শুরু করে এ ব্যক্তি। মাদকের জগতে রশিদ একজন কেমিস্ট হিসেবে পরিচিত। রাকিবকে গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঝিগাতলায় হাসিবের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আইস তৈরির ল্যাবের সন্ধান পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ল্যাব থেকে আইস মাদক তৈরির বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়। তবে সেখান থেকে হাসিব পালিয়ে যায়। পরে গত ১৬ মার্চ মিরপুর এলাকা থেকে হাসিবসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, নিজের গ্রেফতার এড়াতে হাসিব মাথা ন্যাড়া করে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি রেখেছিল। মালয়েশিয়ায় ৭ হাজার রিঙ্গিতে ১ গ্রাম আইস মাদক পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশে এই মাদকের বাজার তৈরির জন্য ৭ থেকে ১০ হাজার টাকায় ১ গ্রাম আইস মাদক বিক্রি করছিল এই চক্রটি।