ঢাকা বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

সিনহা হত্যা মামলায় এপিবিএনের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার


১৮ আগস্ট ২০২০ ১৬:৪৪

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এই নিয়ে এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব এবং আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার সকালে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস।

গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন কক্সবাজার যান ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

সিনহা নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।

৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপসহ সাত আসামি।

ওইদিন দুই দফা শুনানি শেষে তিন কর্মকর্তার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর কয়েকদিন পর বাকি চার পুলিশ সদস্যকে রিমান্ডে দেন আদালত।