সুমন মামার চায়ের কাপে জাদু !

কুষ্টিয়া জেলা শহরের প্রবেশ মুখে অবস্থিত মজমপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কুষ্টিয়া মজমপুর গেট হতেই ঢাকাসহ সমস্ত জেলার পরিবহন গুলো এই মজমপুরের উপর দিয়ে চলাচল করে থাকে। ব্যাপক ব্যস্ততম এলাকা এটি প্রচুর মানুষের আনাগোনা। ঠিক এমন একটি স্থানেই সুমন গোড়ে তুলেছে তার মাদকের স্বর্গরাজ্য। মজমপুরের শ্যামলী কাউন্টারের পাশেই সুমনের রয়েছে একটি চায়ের দোকান, সেই দোকান থেকেই চলে সুমনের মাদক ব্যবসা।
সুমন মামা তার কাস্টমারকে দেখলেই বুঝে যাবে তার কি লাগবে শুধু চোখের ইশারাতেই কাজ হয়ে যাবে, এই বার শুধু সুমন মামার হাতে টাকা দিয়ে দোকানের ভিতরে বসতে হবে বসলেই চলে আসে কাঁচের কাপে ফেনসিডিল। সুমন মামার এক কাপ লাল চায়ের দাম নাকি ১৪০০ টাকা আর হাফের দাম ৭০০ টাকা। সুমন সুকৌশলে এভাবেই মাদক বিক্রি করে আসছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে, সুমনের নামে থানায় মামলাও আছে।
সুমন মামার চায়ের দোকান ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে, দোকানে সব সময় ভিড় জমে থাকে শহরের উঠতি বয়সী তরুণদের, সুমন মামার লাল চায়ের কাস্টমার বেশির ভাগই কুষ্টিয়া শহরের বড়লোকের ছেলেরা।
সুমন নিজেও মাদকে আসক্ত, সুমনের মাদক ব্যবসার অন্যতম সহযোগী আমানত শাহ্ সহ আরো ডর্জন খানিক সক্রিয় সদস্য। আমানত গাঁজা, ইয়াবা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত, পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে একাধিকবার বিভিন্ন থানায় আমানতের নামে মামলাও আছে একাধিক।
আশপাশের দোকানদাররা অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘদিন ধরে সুমন মাদক ব্যবসা করে আসছে অনেকটা খোলামেলাভাবে, প্রশাসনের অনেকের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা, এর আগে বেশ কয়েকবার সুমনের দোকানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা হয়েছিলো কিন্তু অদৃশ্য ইশারায় আগে থেকে খোঁজ পেয়ে সুমন সতর্ক হয়ে যায়। অনেকেই সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সুমনের স্থায়ী বাড়ি যশোরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে, মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বিরোধের কারণেই যশোর থেকে পালিয়ে কুষ্টিয়ায় চলে আসেন।
এখন জনমনে একটিই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, মাদকের নির্মূল করতে কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী, জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে পুলিশের আইজিপি। এত অভিযানের পরেও কিভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে সুমন, এখনো বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সুমন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।