ঢাকা বুধবার, ১৫ই মে ২০২৪, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মাগুরায় ত্রাণ কেড়ে নেওয়ার মূল নায়ক সজিব এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে


১৯ এপ্রিল ২০২০ ১৮:৫৭

সংগৃহিত

সদরের গোপালগ্রাম ইউনিয়নের বাহারবাগ গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা ত্রাণ জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার ৯ দিন পরও ঘটনার মূল নায়ক বিএনপি নেতা সজিবকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।এমন অবস্থায় সজিবকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল মাগুরার গোপালগ্রাম ইউনিয়নে রাজিব আহম্মেদ বর্তমান পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। পরে বিএনপি নেতা সজিবসহ তার কিছু লোকজন সেই চাল হতদরিদ্রদের নিকট থেকে এক প্রকার জোরপূর্বক নিয়ে চলে আসে । পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পারলে সজিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর পুলিশ রফিক মোল্যা ও বাদশা বিশ্বাস নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।কিন্তু ঘটনার মূল নায়ক সজিব গা ঢাকা দেয়।

এদিকে ঘটনার প্রায় ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সজিব গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিএনপি এই নেতা এর আগেও বহু অপকর্ম করার কারণে তাকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি উঠেছে এলাকায়।

এমন পরিস্থতিতে তাকে কেউ আটক করতে পারলে উপযুক্ত পুরস্কারের ঘোষণা পর্যষন্ত দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

গোপালগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজিব আহম্মেদ জানান, এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় অবস্থাশালী ব্যক্তিবর্গ দরিদ্র মানুষের সহোযোগিতায় এগিয়ে আসছেন, যা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে প্রকৃত অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ব্যক্তি উদ্যোগে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ ত্রাণ পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। ফরিদপুরে অবস্থানরত এক ব্যবসায়ী প্রতিদিন ২০টি পরিবারে জন্য খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন, যা বুধবার সন্ধ্যায় বাহারবাগ গ্রামের তালপাড়ায় ২০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। কিন্তু রাতে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী সেই ত্রাণ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, সজিবকে কেউ আটক করে থানা সোপর্দ করলে উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করা হবে।

মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ান বলেন, দরিদ্রদের ত্রাণসামগ্রী কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।