ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

প্রতরনা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফারুক


১৮ জানুয়ারী ২০২০ ২৩:২৬

সংগৃহিত

মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন কারও না কারও কাছে যায়। সেই সহযোগিতার সুযোগ নিয়ে যদি কেউ বিপদে পড়ে আসা লোকটির ক্ষতি করে তাহলে কতো না কষ্ট নিয়ে ফিরে যেতে হয়।

বিপদে পড়ে আসা লোকের তেমন এক কাজ করছে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের সুরপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে প্রতারক মোঃ ফারুক।

দুবাই প্রবাসী ইয়াসমিন আক্তার এর সাথে দুবাই থেকে আসার সময় বিমানে পরিচয় হয়। বিমানে বসে ইয়াসমিন আক্তার কে সিআইপি পরিচয় দিয়ে প্রাতারক ফারুক বলে বাংলাদেশের যেকোন কাজ সে করে দিতে পারবে, পরে আরো বলে আপনি আমার বোনের মতো আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে, আপনি সমস্যায় আছেন, আমাকে খুলে বলতে পারেন বাংলাদেশের সকল মন্ত্রী আমাকে চিনে আমি সকলের কাজ করে দিব সব সময়।

পরে ইয়াসমিন আক্তার প্রতারক ফারুক কে বিশ্বাস করে তার সমস্যার কথা গুলো খুলে বলে, ইয়াসমিন আক্তার এর সমস্যা হলো ছোট বেলায় দুবাই চলে যায়। ঐখানে যাওয়ার পর পাকিস্তানি এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তারা দুইজনে বিয়ে করে তাদের ঘড়ে ফুটফুটে দুইটি সন্তান হয়।

ইয়াসমিন আক্তার এর স্বামী এবং তার এক ছেলে মেয়ে যেনো সব সময় বাংলাদেশে আসতে পারে তার জন্য আইডি করে দিতে হবে। এই কথা শুনে প্রতারক ফারুক বলেন আপনার সমস্যা সমাধান করতে হলে আমার সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেতে হবে।
বাংলাদেশে আসার পর স্বামী এবং দুই ছেলে মেয়ের জন্য আইডি করার জন্য ফারুক কে ফোন করে ইয়াসমিন আক্তার, প্রথমে ফারুক তাকে ঢাকায় আসতে বলে ঢাকায় আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা বলে এক অফিসে নিয়ে যায়। এবং কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সামনে বসিয়ে রেখে প্রতারক ফারুক অন্য রুমে গিয়ে বলে আমার সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা হয়েছে উনি এখন মন্ত্রণালয় নাই পরে যেতে হবে, আপনি এখন আমাকে দুই লক্ষ টাকা দিবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিতে হবে, না হয় আপনার কাজ হবে না, এই কথা শুনে দুবাই প্রবাসী ইয়াসমিন আক্তার তার স্বামী কে ফোন করে ব্যাংকের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা এনে ফারুকের হাতে তুলে দিয়ে বাড়ী চট্টগ্রাম চলে যায়।

কিছু দিন পর ফারুক আবার ইয়াসমিন আক্তার কে ফোন করে বলে তর পাসপোর্টের কপি ছবি সহ কাগজ পত্র লাগবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো দুই লক্ষ টাকা চেয়েছে না হয় কাজ করবে না এবং এই টাকা ও ফেরত দিবে না বোন তুই দুই লক্ষ টাকা দিসোস তর কাজটা ভালো ভাবে হোক আমি চাই, পরে ইয়াসমিন আক্তার বিকাশের মাধ্যমে ফারুক কে বাকী দুই লক্ষ টাকা দেন, আবার কিছুদিন পর ফারুক ফোন করে বলে আমাকে নিয়ে তর দুবাই যেতে হবে ওখানে এমবাসি তে কাজ করতে হবে বাংলাদেশের কাজ শেষ এই কথা শুনে ইয়াসমিন আক্তার প্রতারক ফারুক কে ভিসা এবং বিমানের টিকিট করে দুবাই নিয়ে যায়। ওখানে গিয়ে ফারুক পালিয়ে যায়। এবং হুমকি দিতে থাকে ইয়াসমিন আক্তার কে এ বিষয় ইয়াসমিন আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমাকে আপনারা সকলে হেল্প করেন আমি বাংলাদেশে যেতে চাই আমার আম্মু কে দীর্ঘদিন ধরে দেখতে পারি না।

এ বিষয়ে একাধিক বার ফারুক কে ফোন করলে সে রিসিভ করেনি। দুবাই প্রবাসী ইয়াসমিন আক্তার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাজে আকুল আবেদন জানায়, যে এই প্রতারক ফারুকের হাত থেকে যেনো ওনাকে বাচিয়ে দেন এবং তার বিচার করেন।

ইয়াসমিন আক্তার এর সাথে কথা বললে তিনি আরো জানান, প্রতারক ফারুক মেয়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তাদের কাজ থেকে সব কিছু লুটে নিয়ে যায় এবং ফেসবুকে তাদের ছবি ছেড়ে দিয়ে হুমকি দিতে থাকে তার বিরুদ্ধে কিছু করলে চাইলে তাদের কে মেরে ফেলবে।

নতুনসময়/আইএ