ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রমনা-পল্টনে নতুন চাঁদাবাজ শান্ত

ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে পল্টন ও রমনা থানা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শান্ত ও তার সহযোগীরা। তাদের বেপরোয়া চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যকালাপ বর্তমানে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। ছাত্রলীগের কোন পদে না থেকেও ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ঘটনায় বিব্রতও নেতারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে আটক হয় দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠিনক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী। মূলত এদের গ্রেপ্তারের পর পুরো দক্ষিণের ন্যায় রমনা পল্টনেও একসময় যারা চাঁদাবাজির দৌরাত্ন দেখিয়েছে তারা আত্নগোঁপনে চলে যায়। আর এ সময়টাই কাজে লাগায় শান্ত। গড়ে তোলে তার এক নিজস্ব বাহিনী। এক সময় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে থাকা শান্ত নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় রমনা পল্টন এলাকা। ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানও এখন শান্ত’র চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শান্ত ১০/১২ জনের সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেছে তার এক নিজস্ব বাহিনী। ছাত্রলীগের পল্টন থানার কখনো সভাপতি কখনো সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাম করে বড় বড় প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করছে এমনকি আসন্ন সিটি কর্পোরেশন ভোটকে কাজে লাগিয়ে নতুন ভাবে চাঁদাবাজি করছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, রমনা ও পল্টন এলাকায় ফুটপাতে বসে স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানগুলোতে বর্তমানে শান্ত চাঁদা উঠাচ্ছে। যদি কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করছে তবে তাকে মারপিট করছে এবং হুমকি দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানায়, দলীয় পরিচয় ছাড়াও পুলিশকেও ব্যবহার করছে শান্ত। রমনা ও পল্টন থানার ওসির নাম ব্যবহারের পাশাপাশি আইজিপির নাম ব্যবহারও করতেও দ্বিধাবোধ করছেনা। চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন যখন সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছে তখন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় প্রকাশ্য দিনে দুপুরে চাঁদাবাজি পুলিশের ভুমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে বলেও অভিযোগ করেন এই ভুক্তভোগী।
এদিকে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির বিষয়টি নিয়ে ব্রিবত বলে জানান মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। তারা বলছেন, শান্ত নামের কেউ রমনা কিংবা পল্টনে ছাত্রলীগ নেতা নেই। এই নামে আরও কয়েকজন ইতিমধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ তারা পেয়েছেন। তারা বলেন, দ্রুত এ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন। কেউ যদি ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করতে যায় তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করারও জন্য বলেন তারা।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা ও কঠোর পদেক্ষপ নেয়ার জন্য রমনা ও পল্টন থানার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হবে বলেও জানান এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
নতুনসময়/আইএ