ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১

এক মাসেও রহস্য উদঘাটন হয়নি গাইবান্ধার দুলু হত্যার


১৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৭:০৮

গাইবান্ধায় নিজ বাসা থেকে ৭০০ গজ দুরে বিদেশ ফেরত সবজি ব্যবসায়ি দুলু মিয়া(৪৮)খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে । নিহতের একমাত্র ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা দ্বায়ের করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ জড়িত কাউকেই এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি। এমনকি কারা কী কারণে দুলু মিয়াকে গলা কেটে নৃশংসভাবে এ খুন করেছে সে বিষয়েও পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।

এদিকে নিহতের স্ত্রী হেলেনা বেগম কে স্বামী হত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ । জিজ্ঞাসাবাদে হেলেনা বেগম বলেন আমার স্বামী খাওয়া দাওয়া শেষ করে অনুমান রাত ৯ টার দিকে মাছ মারার জন্য টেপা,কাচি ও টর্চলাইট সঙ্গে করে নিয়ে গেলে আমি ছেলে মেয়ে সহ নিজ ঘড়ে ঘুমিয়ে পড়ি।অনুমান রাত ১২ টার দিকে হঠাৎ ঘুম থেকে জাগনা পেয়ে দেখি আমার স্বামী বাসায় ফেরেনি।তখন আমি আমার ছেলে ও মেয়ে সহ অনেক খোজা খুজি করে না পেলে পর দিন ভোরে ছেলের চিৎকার শুনে বাসার ৭০০ গজ উত্তরে গুয়ার ভিটার দারোগার লিচু বাগানের পশ্চিম পার্শ্বে আমার স্বামীর মস্তক বিহীন মড়দেহ দেখতে পাই।

পরবর্তীতে ঘটনার ১১ দিন পর গত ১৬ অক্টোবর ঘটনাস্থলের ৫০ গজ উত্তরে আবদুল্লাহ চেয়ারম্যানের জমির আইলের উপর অর্ধগলিত আমার স্বামীর মস্তক টি পড়ে থাকতে দেখি।

এদিকে দুলু হত্যার ১ মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ প্রশাসন কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পাড়ায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি তদন্ত মোঃমজিবুর রহমান জানান গত ৫ অক্টোবর মস্তকহীন দুলুর হত্যাকাণ্ডের পর ১১ অক্টোবর খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে একটি মাথার খুলি উদ্ধার করি। ধারণা করা হচ্ছে এটা নিহত দুলু মিয়ার মাথা।এই মাথা নিহত দুলু মিয়ার মাথা কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যাবে।

তিনি বলেন, তবে মনে করা হচ্ছে রাসায়নিক জাতীয় দ্রব্য দিয়ে মাথার খুলি টি পচানো হয়েছে আলামত নষ্ট করার জন্য।এখন পর্যন্ত এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। আমরা নানাভাবে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।

স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা জেলায় এই প্রথম এধরনের নৃশংস হত্যা কান্ড ঘটানো হয়েছে।হত্যার পর মস্তক ছিন্ন করে শুধু মাত্র বডি ফেলে রেখে যাওয়া তারপর আবার সেই মস্তক রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পচিয়ে আলামত নষ্ট করে মাথার খুলি আবার ঘটনা স্থলের ৫০ গজ দুরে ফেলে রেখে যাওয়া নিতান্তই অবাক করা বিষয়।এত দিনেও এ নৃশংস হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন না করতে পারায় আমরা হতভম্ব হয়ে পড়েছি।অতি দ্রুত আমরা এ নৃশংস হত্যাকান্ডের রহস্যের উদঘাটন চাই।