ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৮ই মে ২০২৫, ২৬শে বৈশাখ ১৪৩২


লকডাউন বাঘায় বিপাকে ব্যবসায়ীরা


১৭ এপ্রিল ২০২১ ০১:১৫

ছবি- নতুনসময়

বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বর্তমানে এটি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। বায়ুজনিত এই করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের দেশে নতুন করে লকডাউন শুরু হয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী মহল।

সরেজমিন ঘুরে লক্ষ করা গেছে, করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার গত সপ্তাহে লকডাউন ঘোষনা দিলেও সেটি ঠিকভাবে মানা হয়নি। বরং বাজার এলাকায় লক্ষ করা গেছে ব্যাপক জনসমাগম। সেই সাথে চলছিল ছোট-খাট সব ধরণের যান বহন। খোলা ছিল দোকান পাট।

কিন্ত এই সপ্তাহের চিত্র সম্পুর্ণ ভিন্ন। এবার কঠর হয়েছে প্রশাসন। ফলে নিত্যা প্রয়োজনীয় কাঁচা বাজার, মুদি এবং ঔষধের দোকান ছাড়া প্রায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে করে মহা বিপাকে রয়েছে অন্যান্য ব্যবসায়ী মহল। তারা বলছেন, এ ভাবে যদি দিনের-পর দিন দোকান বন্ধ রাখতে হয় তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।

বাঘা বাজারের জুতা-সেন্ডেল ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, আমার কোন জায়গা-জমি নেই। সল্প কিছু পুজি আর এনজিও থেকে লোন নিয়ে দোকান চালায়। এ থেকে আমার সংসার চলে। বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন যে ভাবে কড়া-কড়ি নজর দারি শুরু করেছেন তাতে করে আমরা কেউই দোকান খুলতে পারছি না। তিনি এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের আর্থিক সহায়তা একান্ত কাম্য বলে দাবি করেন। একই বক্তব্য দেন অন্যান্য ছোট-খাট ব্যবসায়ী মহল।

এদিকে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়,থানা পুলিশ , ২ পৌর সভা এবং ৭ ইউনিয়নের পক্ষে করোনা সংকট মোকাবেলায় সকল জনসাধারণের মুখে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামুলক বলে দিনভর মাইকিং প্রচারনা চলছে। এতে করে পুর্বের চেয়ে জনগন মাস্ক ব্যবহারে সচেতন হচ্ছে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি পুর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। এই সংকট পরিস্থিতিতে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। কেবল এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু করা হয়েছে’’। আমার বিশ্বাস পরিস্থিতি বুঝে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।