ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বোরহানউদ্দিনে তেতুলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন" ফের নদী ভাঙ্গার আশঙ্কা


১২ নভেম্বর ২০২০ ২১:৫১

ছবি- নতুনসময়

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর বোরহানউদ্দিন খালের মাথা ও হাসের চর এলাকা থেকে একাধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা। কিছুতেই থামছে না বালুখেকোরা । ওরা অবৈধভাবে পকেট ভারি করলেও নদী ভাঙ্গানের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করছে তেতুলিয়া নদীতে বালু ব্যবসায়ীরা। এতে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার হাজারো সাধারণ মানুষ। প্রতিবছর সরকার ভোলা জেলায় নদী ভাঙ্গন রোধে শত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তেতুলিয়া নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ফের নদী ভাঙ্গার আশঙ্কা রয়েছে।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিদিন ওই এলাকা থেকে ৫ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। আর সেই বালু মোট ৯ টি জাহাজ দিয়ে বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন খাল, খেওয়া ঘাটের ব্রীজের নিচ দিয়ে, পুরাতন খেওয়া ঘাট, ঘোলপাড় ঘাট, পশ্চিম বাজার ব্রীজ সংলগ্ন খাল, শান্তির হাট চৌরাস্তা আনলোড ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে পাইপ দিয়ে বিভি স্থানে লোকাল বালু (ভিটি বালু) ট্রান্সফার করা হয়। তবে বালু উত্তোলন কারা করছে এমন প্রশ্নে জাহাজ ও জ্রেজার মেশিনের শ্রমিকরা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান জানান, তেতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে এর আগেও আমরা ২ টি ড্রেজার মেশিন আটক করেছি। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে । বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমরা আবারও অভিযান চালাবো। উল্লেখঃ মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলার সময় তেতুলিয়া নদীতে বালু উত্তোলন করার সময় ২ টি ড্রেজার মেশিন আটক করেন উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শোয়াইব আহমাদ। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এখন আবার বেপরোয়া হয়ে উঠছে ওই চক্রটি।