ঢাকা শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১


গাউছিয়ায় ফুটপাত উচ্ছেদে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব


১৮ মে ২০২০ ০২:২৯

ছবি সংগৃহীত

রূপগঞ্জে ফুটপাত উচ্ছেদের অভিযানে কয়েক হাজার পরিবার নিঃশ্ব হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়েই জণমনে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ উচ্ছেদ অভিযানে সচেতন মহলের কেউ কেউ মনে করেন ঈদের আগে এভাবে ফুটপাতের কয়েক হাজার পরিবারকে নিশ্বঃ করা ভালো হয়নি। আবার কেউ বলছেন এলাকাবাসীকে বাঁচাতে প্রশাসনের নেয়া পদক্ষেপ সঠিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হয়েছে। কারন মানুষ বেঁচে থাকলে ব্যবসা করতে পারবে। আজ মার্কেট ও ফুটপাত বন্ধ করেছে তবে আবার করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমে গেলে বা লকডাউন তুলে নিলে এটা থাকবেনা।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান গত ১০মে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়ার সাথে সাথে গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেটসহ এখানকার সকল মার্কেট জুড়েই শুরু হয়ে যায় লাখো মানুষের সমাগম। এতে করে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ে রূপগঞ্জবাসী। তার মধ্যে বেশি চিন্তায় পড়ে যায় এলাকাবাসী। এনিয়ে চলে নানা গুনজন। খোলার ঠিক পরেই দেখা যায়, হঠাৎ করে রূপগঞ্জে বেড়ে যায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। পরে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মার্কেটগুলো বন্ধ করার সিদান্ত নেয়। সাথে সাথে ফুটপাতগুলোতে পড়ে মানুসের উপচে পড়া ভীড়। তখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো নেয়া হয় ফুটপাত উচ্ছেদের কর্মসূচী। তারই অংশ হিসাবে গত কয়েক দিন যাবত চলে এ অভিযান। এ অভিযানে ভেঙ্গে দেয়া হয় প্রায় দেড় হাজার ফুটপাতের দোকান। তবে তার সাথে নেয়া হয় তাঁতবাজর ও আব্দুল হক সুপার মার্কেটের মাছ বাজার ও কাঁচা বাজার তুলে দেয়ার।
উল্লেখ্য গাউছিয়া মার্কেট দেশের সর্ববৃহৎ মার্কেটৎ। এখানে সারা দেশ থেকে আসা লাখো মানুষের ভীড়ে করোনা আতঙ্ক বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে গোলাকান্দাইল, পাঁচাইখা, আউখাব, মর্তুজাবাদ টেলাপাড়া সিংলাব, মাঝিপাড়া, সাওঘাট, বান্ডি, কাঞ্চন, মুড়াপাড়াসহ রূপগঞ্জ, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার, গাজীপুর, মাধবদী, নরসিংদী, ভেলানগর এলাকার লোকজন বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। জানা যায় এসব এলাকার লোকজন এই গাউছিয়া মার্কেটই ব্যবসা বানিজ্য করে। সব বিষয় বিচার বিশ্লেষন করেই প্রশাসন এই পদক্ষেপ নেন।

ক্ষতিগ্রস্থ ফুটপাতের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ফুটপাতের ছোট ছোট ব্যবসায়ী, আমাদের পুঁজি কম। আমরা কোনভাবে অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করে খাই। সামনে ঈদ আমরা কিভাবে চলবো এটা নিয়েই আমরা চিন্তায় আছি। আমরা ঈদের সময় কিছু বেচাকেনা করে ঈদ করে থাকি, কিন্তু তা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের আর কোন উপায় নাই। আমরা কি করে খাবো ?

এ ঘটনায় ইউএনও মমতাজ বেগম বলেন আমরা মানুষের যানমাল রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নিয়ে বাধ্য হয়েছি।
ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সেপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, লকডাউন চলাকালে আমরা এলাকার মানুষ বাঁচাতে সাময়িকভাবেই এসকল পদক্ষেপ নিয়েছি। দেশ স্বাভাবিক হলে গভীর মানুষের কথা চিন্তা করেই শিতীল করা হবে