জীবনের সঙ্গে লড়ছেন দেশের সবচেয়ে লম্বা রামুর জিন্নাত আলী

কক্সবাজারের বাসিন্দা বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ জিন্নাত আলী। তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ মস্তিষ্কে টিউমারজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এর আগে পাঁচদিন কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (২৭ এপ্রিল) শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল গ্রামের আমির হামজার ছেলে জিন্নাত আলী। ১৯৯৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। ১১ বছর বয়স থেকে জিন্নাত আলীর শরীরের উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ তিনি। জিন্নাত আলীর উচ্চতা ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি।
জিন্নাত আলীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. খুরশিদ আনোয়ার বলেন, ‘জিন্নাত আলীর কন্ডিশন খুবই ক্রিটিকাল। দুপুরে এখানে ভর্তি হয়েছেন। আইসিইউর জন্য বলেছিলাম, চেষ্টা চলছে। উনার ব্রেইন টিউমার অনেকটা এডভান্সড স্টেজে রয়েছে। সাথে ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট থাকায় শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে রোগীর অবস্থা জটিল।’
নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, ‘দুপুরে জিন্নাত আলীকে ডিপার্টমেন্টে আনা হয়েছে। তার কন্ডিশন ক্রিটিকাল। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
জিন্নাত আলীর ভাই ইলিয়াস আলী বলেন, ‘আমার ভাইয়ের অবস্থা খুব জরুরি। খুবই খারাপ অবস্থা। আমার একটা দোকান আছে। সব বিক্রি করে দেবো, কিছুই লাগবে না। আমার ভাই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। ভাইয়ের ব্রেইন টিউমার। খুব কষ্ট হচ্ছে। এখনও বেডে আছে। অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হইছে।’
কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, ‘ভেতরে দম আছে সব বুঝে কিন্তু কিছু বলতে পারে না। অবস্থা খুব জরুরি।’
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আসিফুল ইসলাম বলেন, ‘শারীরিক অবস্থা অতটা ভালো না। ব্রেইন টিউমারের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যাও আছে। এই মুহূর্তে উনার একটা আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। এক্স-রে করার পর আইসিইউতে খবর পাঠানো হয়েছে। দেখি ওরা কী বলে।’