ঢাকা শুক্রবার, ১৬ই মে ২০২৫, ২রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


করোনা: ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, চলছে অভিযান


২২ মার্চ ২০২০ ০১:৩৬

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও করোনা আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদার তুলনায় ভোক্তারা বেশি কিনছেন বলেই বাজারে চাল সংকট, মিলাররা এমন দাবি করলেও, তার কড়া সমালোচনা করে পাইকাররা বলছেন, কোনো কারণ ছাড়াই বন্ধ করা হয়েছে মিল থেকে চাল সরবরাহ।

অন্যদিকে, সরকারের নিয়মিত অভিযানের প্রভাবে ক্রেতাশূন্য পেঁয়াজ রসুন আর আদার বাজারে, ঘাটতি নেই কাঁচামালের।

মোহাম্মদপুর পাইকারি বাজার, ঢাকার খুচরা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বড় যোগান আসে এখান থেকেই। বাজারে প্রবেশের পরই কিছুটা খটকা লাগলো, কারণ অধিকাংশ আড়ত অনেকটা ফাঁকা। নেই ক্রেতাদের আনাগোনা কিংবা স্তূপ করে রাখা সারি সারি চালের বস্তাও।

মিলারদের এক প্রতিনিধির দাবি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল কেনায় সৃষ্টি হয়েছে সংকট, যদিও তা মানছেন না ক্রেতা কিংবা আড়তদার, কেউই।

একজন বলেন, যার এক বস্তা প্রয়োজন, সে যদি তিন বস্তা কিনে নেয়। তাহলে বাজারে চালের সংকট পড়বেই।

আরেকজন বলেন, ব্যবসায়ীরা যেভাবে দাম চাচ্ছে। এটা তো সহনীয় পর্যায়ে না।

এক ব্যবসায়ীর দাবি, মিলারদের কাছে চাল চাইলে তারা বলছে, ধানের দাম বেশি, তাই চাল তৈরি করতে পারছি না।

কিছুটা ভিন্ন চিত্র পেঁয়াজ রসুনের পাইকারি বাজারে, প্রচুর সরবরাহ রয়েছে কাঁচামালের, কিন্তু দেখা নেই ক্রেতাদের। এর মধ্যেই গণমাধ্যমের ক্যামেরা দেখে ৭০ টাকা থেকে পেঁয়াজের দর নেমে এলো ৫০ টাকায়।

একজন বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিছে।

আরেকজন বলেন, পর্যাপ্ত পণ্যে রয়েছে। কিন্ত বেচা-বিক্রি নেই।

এদিকে, অব্যাহত রয়েছে অতিরিক্ত দামে ভোগ্যপণ্য বিক্রি করার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। বাজার নিয়ন্ত্রণে যা রাখছে বড় ভূমিকা।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, আইন মেনে, আইন জেনে নৈতিক জায়গা থেকে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। ব্যবসায় অবশ্যই লাভ করবেন। লোকসান করবেন না।

তবে শুধু অভিযান নয়, সংকটকালীন ক্রেতা-বিক্রেতার সচেতনতা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল রাখা কঠিন বলেই মনে করে সব পক্ষ।

নতুনসময়/আনু