অবৈধভাবে ভারতীয়রা এদেশে কাজ করে কিভাবে, প্রশ্ন আসিফ নজরুলের

প্রতিনিয়ত সীমান্তে বিএসএফ-এর হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তারা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী। অথচ সাম্প্রতিক এক তথ্যমতে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় অবৈধভাবে কাজ করছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
আসিফ নজরুল লিখেছেন ‘অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে ভারতীয় বাহিনীর হাতে গুলি খেয়ে প্রাণ হারায় বাংলাদেশের মানুষ। অবৈধভাবে ভারতীয়রা এদেশে কাজ করে কিভাবে? সেও এতো বিপুল সংখ্যায়, দেশে এতো প্রকট বেকার সমস্যা থাকার পরও। এদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত সরকারের কাছে এসব প্রশ্ন তোলা।জবাব চাওয়া।’
প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি চাকরির বাজারে এখন ভারতীয়দের দাপট। বিশেষ করে তারা পোশাক, বায়িং হাউজ, আইটি এবং সেবা খাতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছেন। এর মধ্যে পোশাক খাতে কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তির অভাব আছে। আর পোশাকের বায়িং হাউজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ভারতীয়রা৷ ফলে পোশাক কারাখানা বায়ার পেতে তাদের কারখানায় মার্কেটিং এবং হিসাব বিভাগেও ভারতীয়দের নিয়োগ করে৷ তাদের মতে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে এক লাখেরও বেশি ভারতীয় কাজ করেন৷ অন্যদিকে বায়িং হাউজে এই সংখ্যা আরো আরো বেশি৷ এর বাইরে আইটি খাতেও ভারতীয়দের দাপট৷ আরো অনেক সেবা খাত আছে যেখানে ভারতীয়রা কাজ করেন৷ এমনকি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, বিজ্ঞাপন, কনসালটেন্সি এসব খাতেও ভারতীয়রা রয়েছেন৷ সবমিলিয়ে বাংলাদেশে কম করে হলেও পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করে বলে ধারণা করা হয়৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশেরই কোনো ওয়ার্ক পারমিট নেই৷ তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় আসেন৷ আর তাদের বেতন অনেক বেশি৷ ট্যুরিস্ট ভিসায় যারা কাজ করেন তাদের আয়করা পুরো অর্থই অবৈধ পথে বাংলাদেশের বাইরে চলে যায়৷
নতুনসময়/আইকে