ঢাকা শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


আশুলিয়ায় বিভিন্ন ফার্মেসিতে বিক্রয় হচ্ছে নিষিদ্ধ ঔষধ কৌশল অবলম্বনে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট


৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০০

ছবি সংগৃহীত

ঢাকার অতি নিকটবর্তী শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে ফার্মেসি নামক কসাইখানা জিম্বি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ । আশুলিয়া একটি শিল্প অধ্যুষিত শ্রমিক অঞ্চল হওয়ায়। এখানে সাধারন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের বসবাস একটু বেশি। তাদের কে কেন্দ্র করে আশুলিয়ার আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে ফার্মেসি। এসকল ফার্মেসি গুলোতে বেশির ভাগই নেই কোন কাগজপত্র । ফার্মেসি যারা চালায় তাদের নেই তেমন কোনো অভিজ্ঞতা বা শিক্ষাগত যোগ্যতা ।কোনরকম লেখাপড়া করে কোন না কোন ভাবে তিন বা ছয় মাসের এল এম এফ কোর্স করে নামের আগে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে সেবার নামে কসাইখানা তৈরি করে চালিয়ে যাচ্ছে অপচিকিৎসা নামক রমরমা বাণিজ্য । এরা প্রতারণা করে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অল্প মূল্যে ঔষধ বেশি মূল্যে বিক্রয়। সরকারি ভাবে বিক্রয় নিষিদ্ধ স্যাম্পল ঔষধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ লিকুইড সিরাপ এবং পরিবার পরিকল্পনার জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ইনজেকশন, কনডম,সহ ব্যান্ড হয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান ঔষধ বিক্রয় । সরকারি ভাবে দেয়া বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, ইঞ্জেকশন ও কনডম, সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করার কথা থাকলেও তা পাওয়া যায় প্রায় সকল ফার্মেসীগুলোতে। কিছু এনজিওর অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারী ও মাঠকর্মী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রয় করে যাচ্ছে অসাধু মাঠকর্মীরা এছাড়াও জামগড়া চৌরাস্তা ভাদাইল বটতলা রোড হোলসেলার জনতা ফার্মেসি পাইকারিভাবে বিক্রয় করে আসছেন এই সকল সরকারি ঔষধ । সেই ঔষধ গুলো অল্প মূল্যে ক্রয় অধিক মূল্যে বিক্রয় করছেন ফার্মেসী নামক কসাইখানার দোকানদাররা। সরেজমিনে গেলে নরসিংপুর হা-মীম গ্রুপের ৩ নং গেট মায়ের দোয়া ফার্মেসি প্রোপাইটর আলতাফ হোসেন, জামগড়া বেরণ তেতুলতলা এলাকায়, নিউ নন্দিতা ফার্মেসী প্রো: প্রমাংস বেপারী, আব্দল্লাহ ফার্মেসী প্রো: মোঃ রাজিব গোরাট আশুলিয়া নাইম মেডিসিন কর্ণার প্রো: ডাঃ মোঃ মোকলেছুর রহমান, গোষবাগ স্কুল রোড, রেঁনেসা ফার্মেসী সুশীল সরকার মেসার্স মা ফার্মেসী, ডাঃ মোহাম্মদ সোহেল চৌধুরী,সেবা মেডিসিন হাউজ, জামগড়া বেরণ তেঁতুল তলা এলাকার গেলে দেখা যায় এই সকল ফার্মেসীতে প্রকাশ্য বিক্রয় হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিষিদ্ধ ঔষধ। বিক্রিয় হচ্ছে চড়াও দামে আর ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার সেজে দিচ্ছেন নিম্নমানের চিকিৎসা সেবা। বিপাকে পড়ছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ । এদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে হতে হচ্ছে লাঞ্চিত। কারণ এই সকল ফার্মেসির ব্যবসার নামে কসাইখানার টিকিয়ে রাখার জন্য রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম কর্মী সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা । এবং তাদের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে চলছে ফার্মেসি ব্যবসা । প্রকাশ্যে অবৈধ ঔষধ বিক্রয়ের বাণিজ্য দেখেও দেখছেন না কেউ। বর্তমানে এই ধরনের ব্যবসা এবং ফার্মেসি ব্যবসা করতে সমস্যা হবে বলে অনেক ফার্মেসীর মালিক বনে যাচ্ছেন সাংবাদিক বা দলীয় নেতা। এই মহান পেশা গুলোকে পুঁজি করে এই ব্যবসা পরিচালনা সহ সকল ফার্মেসী নামক কসাইখানার নিচ্ছেন দায়িত্ব নিচ্ছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা । বিভিন্ন সময় প্রশাসন বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা জেল-জরিমানা করলেও থামছেন না এইসকল প্রতারণার ব্যবসা ।আর প্রতারণার বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না সাধারণ মানুষ । প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দিচ্ছেন ঔষধ, যেখানে ১০ টাকার ঔষধ খেয়ে সুস্থ হবে রোগী সেখানে তাকে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রায় ৫০০ টাকার ঔষধ। অল্প শিক্ষিত এলএমএফ কোর্স দাড়ি ডাক্তারা দিচ্ছেন চিকিৎসা সেবা। এতে করে প্রতিনিয়ত বাড়ছে হৃদরোগ সহ নানা প্রকার সমস্যা ।ভুল চিকিৎসার কারণে অনেক সময় অকালে ঝড়ে যাচ্ছে অনেকের জীবন । বাংলাদেশে ফার্মেসি ব্যবসা করতে গেলে যে সকল কাগজপত্র লাগে সে কাগজপত্র ছাড়া কোনরকম এলএমএফ কোর্স করেই হচ্ছেন ডাক্তার সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ ।দিন দিন বাড়ছে ভুয়া ডাক্তার সহ অপচিকিৎসা। আইন থাকলে ও সঠিক ভাবে হচ্ছে না প্রয়োগ । বাংলাদেশ সরকার গঠিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হলেও তেমন কোন সুফল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপরোক্ত প্রশাসন এই বিষয়ে খতিয়ে দেখে সর্বপ্রথম কোন কোন এনজিও সরকারি ঔষধ বিক্রিয় করেন তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের ব্যবস্থা করা সহ ফার্মাসি নামক কসাইখানা এদের তৈরি কমিটি নামক আশ্রয়স্থল ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বন্ধ হবে অপচিকিৎসা এমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ । বিক্রয় বন্ধ হবে সরকারি ঔষধ । বিনামূল্যে সরকারি ঔষুধ পাবে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই এসমস্ত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আগে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ ও কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করলেই স্বস্তি ফিরে পাবে আশুলিয়া বাঁশি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সায়মুল হুদা সাভার উপজেলা ফ্যমেলী প্লানিং অফিসার (ইনচার্জ) বলেন ২০১০ এর খসড়া আইনে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে বিএমডিসি নাম্বার ব্যতীত কোন ব্যক্তি নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না ।যদি কোন ব্যক্তি বিএমডিসি নাম্বার ব্যতীত তাহার নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করেন। এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারি ঔষধ বিক্রয়ের সন্ধান পাওয়ামাত্র অতি দ্রুত ওই ফার্মেসীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।