ঢাকা রবিবার, ১৮ই মে ২০২৫, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


আলু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মোহনপুরের কৃষকরা


২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২১:৪৭

 ছবি সংগৃহীত

আলু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাজারো আলু চাষি। এ বছর শীত বেশি পড়ায় আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে খেতে কাজ করছেন চাষিরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ টপ ড্রেসিং (আলু গাছের সারিতে মাটি তুলে দেয়া ও সরিয়ে দেয়ার কাজ) করছেন। আবার কেউ দিচ্ছেন রাসায়নিক সার। কেউ বা ছত্রাক, রোগ-বালাই ও ঘন কুয়াশার হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক স্প্রে করা নিয়ে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার আলু চাষিরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আলু রোপণ করার পরে প্রথম দিকে শীত কম পড়ায় আলু গাছের ফলন দেখা যাচ্ছিলো না। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত প্রচন্ড শীত পড়ায় আলুর বাম্পার ফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উপজেলায় ১০ অগ্রহায়ণ থেকে আলু বীজ রোপণ করেন কৃষকরা। ফ্লাগুন মাসের শেষের দিক হতে আলু তোলা শুরু করা হবে। আলু উত্তোলনের সময় সরকারী ভাবে মনিটরিং বাড়ালে চাষিরা প্রকৃত মূল্য পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামের আলুচাষি আইনাল হক বলেন, আমি এ বছর গত মুওসুমে ৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। কিন্তু দাম ভাল না পাওয়ায় লোকশান হয়েছে। তাই এবার অর্থেও সংকটে ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। শীত থাকলে আলুর উৎপাদন ভালো হবে আশা করছি।
বরইকুড়ি গ্রামের সোহরাব আলী বলেন, গত বছর আলু চাষ করে প্রথম দিকে বিক্রি করে লাভবান হতে পারিনি। যারা আলু পরে বিক্রি করেছে তারা ভালো দর পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর আমাদেও প্রতি দুই শতাংশে আলু হয়েছে ৯ মণ। তাই এ বছর আমি বেশি জমিতে আলু চাষ করেছি। তবে শীত থাকলে গত বছরের মত আলু হবে। আমরা আশা করছি এবার গত বারের তুলনায় কিছু জমিতে আলু চাষ কম হয়েছে। তাই লাভবান হওয়ার আশা করছি।
কুঠিবাড়ী এলাকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর আমি ৬বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আলুর পরিচর্যা করছি। আশা আছে আলুর ফলন ভালো হবে। যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে খরচ পুষিয়ে লাভ গুণতে পারবো।
মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন জানান, চলতি মুওসুমে এ উপজেলায় জমিতে আলু করেছে কৃষকরা। আমাদের পক্ষ থেকে আলু চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এ বছরও আলুর বাম্পার ফলন হবে।