মাদকের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকলে নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং

কক্সবাজার-টেকনাফ দিয়ে এখন ইয়াবা ঢোকা কঠিন। সেখানে পুলিশ-র্যাব-বিজিবিসহ সবাই সর্তকতার সহীত কাজ করছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আজ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে একথা গুলো বলেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচাক বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, কুয়াকাটাকে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের সব বাহিনি একত্রিত হয়ে কাজ করছে। সমুদ্র দিয়ে যাতে মায়ানমার থেকে আসা মাদকে কুয়কাটা হয়ে দেশে ঢুকতে না পারে সেদিকেও লক্ষ রাখা হচ্ছে। স্থানীয়দের বিষয়েও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচাক আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বা কর্মকর্তারা যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে মাদক নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের সঙ্গে যেন কারো কোনো রকম সংশ্লিষ্টতা না থাকে। কারণ আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি সমস্যা থাকে, তখন মাদকের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
বেনজীর আহমেদ বলেন, অভিযান নিয়ে আমাদের আত্মতুষ্টি নেই। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাব। অপারেশনের পাশাপাশি এখন আমরা সামাজিক সচেতনতার প্রতি বেশি জোর দিচ্ছি। এভাবে সচেতন করে যদি ডিমান্ড কমানো যায়। তাহলে এমনিতেই সাপ্লাই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আপাতত আমাদের টার্গেট মাদককে দুষ্প্রাপ্য করে দেওয়া। ৫০ টাকা পিস ইয়াবা এখন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এতে এমনিতেই ডিমান্ড কমে আসবে।