ঘুষ চাওয়া হল স্বয়ং দুদক কর্মকর্তার কাছেই

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জানা গেছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬) অভিযোগ আসে, বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পেয়িং এবং নন-পেয়িং উভয় ক্যাটাগরির সিট বুকিংয়ের জন্য স্টাফদের মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। নন-পেয়িং সিট খালি থাকার পরও বরাদ্দ দেয়া হয় না, বরং এজন্য কমপক্ষে দু-তিন হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, সিস্টার, আয়া, সুইপার, ট্রলিবয়- প্রত্যেককে পৃথকভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বকশিশ দিতে হয়; যা না দিলে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী এবং তার স্বজনদের।
তারই সুত্র ধরে অভিযোগসমূহের প্রেক্ষিতে সহকারী পরিচালক শারিকা ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের টিম আজ রোববার(১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দুদক টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। অভিযোগগুলোর বিষয়ে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে টিমের একজন সদস্য নিজে রোগীর স্বজন পরিচয়ে হাসপাতালে সিট বুকিং করতে চাইলে তার কাছে বাড়তি অর্থ চাওয়া হয়। সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের পরিচালককে বর্ণিত পরিস্থিতি অবগত করেন। অনৈতিক পথে অর্জিত কিছু টাকাও পাওয়া যায় এক ওয়ার্ডবয়ের কাছে।
নতুনসময়/আইকে