ঘটনার সময় দেশের বাইরে থাকলেও চার্জশিটে বিহারী নেতার নাম

ঘটনার সময় দেশে না থাকলে তদন্ত প্রতিবেদনে (চার্জশিট) বিহারী নেতা সাদাকাত খান ফাক্কুর নাম জড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত ওসির বিরুদ্ধে। এর আগেও এরকম মামলার শিকার হয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উর্দু স্পীকিং পিপলস ইউথ রিহ্যাবিলিটেশন মুভমেন্টের সভাপতি মোঃ সাদাকাত খান বলেন, গত বছরের ৭ জুলাই পল্লবী থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। ওইসময় আমাকে এবং আমার সংগঠনের কাউকে আসামি করা হয়নি। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত না করে আমাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিটে আমার ও আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলুর নাম জড়িয়ে দিয়েছেন পল্লবী থানার এসআই আসিফ ইকবাল। এর আগেও তদন্ত না করেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সে মামলায় আতিক নামের মৃত মানুষকেও আসামি করা হয়েছে। আতিক ঘটনার ১ মাস আগেই ইন্তেকাল করেছিলেন। সনু নামের আরেকজন ঘটনার সময় কারাগারে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে দুইটি মামলায় আমাদের নাম জড়ানো হয়েছে সে মামলার ঘটনার সময় আমি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। গত বছরের ৩ জুলাই ভারতে গিয়ে ফেরত এসেছি ১৯ জুলাই। যে ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে সেটা ৭ জুলাইয়ের। তাহলে পুলিশ কিভাবে আমার নাম তদন্ত প্রতিবেদনে দিলো?
তিনি বলেন, আমি ও আমার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ আলি বাবলু বিহারিদের সংগঠন বাদে অন্যকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নই। আমাদের অপরাধ হচ্ছে বিহারিদের ক্যাম্প যেন পুনর্বাসনের আগে উচ্ছেদ না হয় সেজন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। ক্যাম্প উচ্ছেদের চক্রান্তকারীদের সাথে যোগসাজশ করে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম নতুনসময়কে বলেন, বিহারী নেতা ফাক্কু যে অভিযোগ তুলেছেন তা ভুল। আমরা কাউকেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করিনি।