গোপালগঞ্জের

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনসহ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের ৭ম দিনে বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থেমে থেমে চলছে শিক্ষার্থীদের ভিসি-বিরোধী ঝাড়ু মিছিল ও সমাবেশ। ঝাড়ু মিছিলে অংশ নেয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলনে ভিসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, সেখানে আপনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হুমকি দিচ্ছেন। মিডিয়া কাভারেজ বন্ধ করে দিলে নাকি আপনি ২ ঘন্টার মধ্যে আন্দোলন হটিয়ে দেবেন। এটা আপনার কেমন কৌশল? তাহলে কি আবারও আপনি আপনার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আক্রমণ করবেন!
ভিসিকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১১টা পর্যন্ত আমরা চোখে কালো কাপড় বেধে আন্দোলন স্থলে অবস্থান করব। আপনি আপনার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মেরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দিয়েন।
‘আন্দোলনরত ছেলে মেয়েরা রাস্তায় ও ঝোপঝাড়ে বসে থাকে’- ভিসির এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সবাই জানি আমাদের পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, সেখানে এমন একটি মিথ্যাচার খুবই হাস্যকর। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আপনাকে বলে দিতে চাই, আপনি কি সাধারণ শিক্ষার্থীদের আপনার নিজের মতো চরিত্রহীন ভাবেন?
আপনি আরো বলেছেন, এরকম যৌক্তিক আন্দোলন করলে নাকি ৪২টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে কি আপনি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়দের আপনার মতো দুর্নীতিবাজ এবং চরিত্রহীন মনে করেন? আমরা মনে করি এই বক্তব্য ৪২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শিক্ষার্থীদের জন্য অবমাননাকর।
দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ, সচেতন শিক্ষক সমাজ, মিডিয়ার সকল সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী যারা নৈতিক দাবীর স্বপক্ষে থেকেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের সমাবেশে থেকে সকল শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে। ক্যাম্পাসে অপরিচিতদের প্রবেশ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি ভলান্টিয়ার গ্রুপ তৈরী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে।
এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি’ স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে রেখেছে গোটা ক্যাম্পাস। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নতুনসময়/এসএম