পদ্মায় তীব্র স্রোত, দৌলতদিয়ায় যানযটে নাকাল অবস্থা

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ফেরি সংকট। পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে পানি বেড়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সকল শ্রেনীর যাএীদের।
বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত ছিল তিন কিলোমিটার যানজট। ঘাট এলাকার আড়াই কিলোমিটার ফোরলেন সড়কের বাম পাশে আটকে ছিল তিন শতাধিক যানবাহন।
স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরিগুলো ঘাট ছাড়ার পর গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। এখন লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি। এ অবস্থায় উভয় ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটকে পড়ছে তিন শতাধিক যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সূত্র জানায়, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে পদ্মা-যমুনায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোত। প্রচণ্ড স্রোতের বিপরীতে এই রুটের ফেরিগুলোর চলাচল অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার এই রুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করেছে। এর মধ্যে আটটি বড় ও পাঁচটি ছোট ফেরি। ‘সন্ধ্যামালতি’ ফেরিটি বিকল হয়ে স্থানীয় কারখানায় এবং বড় ফেরি ‘আমানত শাহ’ নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে এবং ‘কাবেরি’ ফেরিটি মেরামতে আছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মাহবুব হোসেন বলেন, ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৩টি চলাচল করছে। এর মধ্যে আমানত শাহ, কাবেরি ও সন্ধ্যামালতি মেরামতে রয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন পদ্মা নদীতে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির সঙ্গে তীব্র স্রোত বইছে। ফলে ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। আগের তুলনায় নদী পার হতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। যে কারণে দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন সিরিয়ালে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে। তবে বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
নতুনসময়/এসএম