ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৫ই মে ২০২৫, ১লা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


যমুনার পানি বৃদ্ধি : নিরাপদ আশ্রয় নিচ্ছে নদী ভাঙ্গন কবলিত পরিবার


১৭ জুলাই ২০১৯ ০৬:৪৪

যমুনার পানি বৃদ্ধি

গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ায় যমুনা নদীর পানি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে এই নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে গত কয়েকদিনে যমুনা নদীর তীরবর্তী ভূঞাপুর উপজেলার তাড়াই, বলবামপুর,কষ্টাপাড়া,খানুবাড়ি গোবিন্দাসি গ্রামে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।এখন পর্যন্ত ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। আর এতে গৃহহীন হচ্ছে বহু পরিবার। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্র্তৃপক্ষ বলছে আগামী বুধবার পর্যন্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কষ্টাপাড়া,খানুবাড়ি গ্রামের শত শত পরিবার যমুনা নদীর ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়ে তাদের ঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ পানি ও খাদ্যের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।খানুবাড়ি গ্রামের মো: আলম জানান,চোখের সামনেই আমাদের ঘড় বাড়ি সহ এলাকার শত পরিবারের বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেলো।আমাদের থাকার জায়গা নাই।এখন কোথায় যাই, কোথায় থাকি কোন দিকদ্বারা পাইতেছিনা।

গোবিন্দাসি ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান বাবলু হোসেন জানান, নদীর পানি অব্যাহত ভাবে বাড়তে থাকলে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও বাড়বে। তাছাড়া হুমকীর মধ্যে রয়েছে কবরস্থান,মন্দির। আমরা ইতিমধ্যে দূর্গতদের পাশে দাড়িয়েছি।আমার ইউনিয়নে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।যথা সাধ্য চেষ্টা করিতেছি সবার পাশে দাড়ানোর জন্য।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে টাঙ্গাইলের যমুনা ও ধলেশ্বরীর নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সে.মি. উপরে অতিবাহিত হচ্ছে।আগামী বুধবার পর্যন্ত এ সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পাবে। তবে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পানি কমতে পারে। আর পানি কমলে ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভাঙন রোধে আমরা কাজ করছি এবং কাজ চলমান রয়েছে।