বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, জামালপুরে ৬১ হাজার পরিবার পানিবন্দি

জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, জিঞ্জিরাম ও ঝিনাই নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে।
সোমবার সকাল থেকে যমুনার পানি দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যার পানিতে জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পৌরসভা এলাকা থেকে শুরুকরে ডাংধরা ইউনিয়ন,সানন্দবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী ও হাতিভাঙ্গা ইউনিয়ন,দেওয়ানগঞ্জ ৮নংসদর ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, পাথর্শী ও ইসলামপুর সদর ইউনিয়ন, মাদারগঞ্জ উপজেলার জোরখালী, চরপাকেরদহ ও বালিজুড়ী ইউনিয়ন, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ও নাংলা ইউনিয়ন এবং সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা, পিংনা, আওনা, ভাটারা ও কামরাবাদ ইউনিয়নে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার এই ছয়টি উপজেলায় অন্তত:পক্ষে শতাধিক গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।
জেলা ছয়টি উপজেলায় অন্ততঃপক্ষে ৬০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
বন্যার কারণে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইসলামপুর উপজেলায় ৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর-উলিয়া রাস্তার খরকা এলাকায় কাঠের পুরনো সেতুটি বন্যার পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় ইসলামপুর উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চত্বরও আসপাশের বাসাবাড়িতে একবুক পানি।