বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া সরকারি হিসাবে বন্যায় সুনামগঞ্জের প্রায় ১৩ হাজার ১০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো সব সময় খোলার রাখার নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের পাঠানো জরুরি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার একশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সহায়তায় জন্য সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
অন্যদিকে জেলায় ১২৩৫ প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ২০০ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জেলার সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাতের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করেছেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ও ৩শ মেট্রিক টন চালের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি।