সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে জিয়া-এরশাদ : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

‘জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘জেল হত্যা, আইনের শাসন, সংবিধান ও সাংবিধানিকতা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচার করা যাবে না, জিয়াউর রহমান এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জিয়াউর রহমান প্রথম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিয়েছে। সে সময় জিয়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। সমতাভিত্তিক-সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সরিয়ে নিজের একটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করে দিয়েছে। পরে এরশাদ ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রধর্ম প্রবর্তন করেছে। অথচ, শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকে ’৭২-এর চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানের অংশে পরিণত করেছে। পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতা নিয়ে এসে ষোলকলা পূর্ণ করেছে খালেদা জিয়া। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জেলহত্যার বিচারসহ বড় বড় হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, একজন শেখ হাসিনা আছেন বিধায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও আছে। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের তকমা লাগানো রাষ্ট্র আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা ফিরে না এলে এ দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার কোনোদিন সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না এলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হতো না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসত না।