ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২


পূর্বাচল স্টেডিয়ামে ১৩ হাজার সেপটিক মাটি চুরি, বিসিবির ক্ষতি প্রায় ২৪ লাখ


৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:২৭

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর চুরি হয়েছে উইকেট তৈরির মাটি। পূর্বাচল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ তৈরির জন্য কেনা মাটি লোপাট হয়েছে। যমুনা টেলিভিশনকে বিসিবির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে—২০ হাজার সেপটিক কেনা মাটির মধ্যে চুরি হয়ে গেছে ১৩ হাজার সেপটিক মাটি। ক্রয়মূল্য হিসাব করলে এই চুরির ঘটনায় বিসিবির ক্ষতি প্রায় ২৪ লাখ টাকা।

 

ক্রিকেট বোর্ডের মাঠ সংকট নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা। শোনা যায়, টাকা থাকলেও নাকি জমি পাওয়া যায় না মাঠ কেনার জন্য। কিন্তু ঢাকার পূর্বাচলে স্টেডিয়াম করার জন্য বিশাল এই জায়গা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে অব্যবহৃত। এখানে দুইটি মাঠ প্রস্তুত করে খেলা ও অনুশীলন ফ্যাসিলিটিস তৈরির কথা বলা হচ্ছে অনেক দিন থেকে। কিন্তু সবকিছুই আটকে আছে কথার মায়াজালে।

 

এবার নতুন এক ঘটনা ঘটেছে। পূর্বাচল স্টেডিয়ামে হয়েছে রীতিমতো পুকুরচুরি। চুরি হয়েছে মাটি!! উইকেট তৈরির জন্য ২০ হাজার সেপটিক মাটি কিনেছিল বোর্ড। খালেদ মাসুদ পাইলট গ্রাউন্ডস কমিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে কাজ শুরুর উদ্যোগ নেয় এই ভেন্যুতে। কিন্তু মাটির হিসেব করতে গিয়ে দেখা যায় ২০ হাজার সেপটিক মাটির মধ্যে আছে কেবল ৭ হাজার সেপটিক মাটি। চুরি হয়ে গেছে ১৩ হাজার সেপটিক মাটি।

 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে—কীভাবে ঘটলো এই চুরির ঘটনা? পূর্বাচল স্টেডিয়ামের পুরো এরিয়া নিরাপত্তা বেষ্টনিতে আবদ্ধ। মাঠে আছে গ্রাউন্ডস কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী ও দেখভাল করার যথেষ্ট লোকবল। এমনকি ১৩ হাজার সেপটিক মাটি সরানোও সময়সাপেক্ষ। তাইতো প্রশ্ন—বিসিবির কারও জড়িত না হলে এমন কাজ কি করা সম্ভব?

 

গুঞ্জন আছে, এই মাটি ক্রয় করতেও নাকি হয়েছিল আরও একবার পুকুরচুরি। ১৮৫ টাকা দরে প্রতি সেপটিক মাটি কিনেছে বিসিবি—যা বাজারমূল্যের দুই থেকে তিন গুণ বেশি। সেই হিসেবে যে পরিমাণ মাটি খোয়া গেছে তাতে বিসিবির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টাকা।

 

এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে চাননি বিসিবির কোনো পক্ষই। যদিও আগামীকাল মঙ্গলবার পূর্বাচল স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যাবেন কর্তারা। তখনই হয়তো উত্তর মিলতে পারে মাটি চুরির রহস্যের!