ঢাকা মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২


অনলাইন আলোচনা ভাইরাল ভোট কেন্দ্রে কারসাজির অভিযোগ নাকচ জামায়াতের


৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২:২৬

সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক ও জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ সময়ের বিতর্ক। তবে সেই বিতর্ক আবারও সামনে এসেছে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলামের অনলাইন বৈঠকের কথপকথনের ভিডিও ফাঁসের পর। 

 

এতে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সাথে অংশ নেন ইসলামী ব্যাংকের ইনডিপেনডেন্ট পরিচালক মো. আব্দুল জলিল। ইতোমধ্যে তাদের একটি অনলাইন ভিডিওর অংশ বিশেষ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক চলছে। যেখানে জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। সেইসাথে, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বাইরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কথা বলেন তারা।

 

নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলছেন, এই বৈঠকের কথোপকথন আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা তৈরি করছে। নির্বাচনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে আরও সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, এই বক্তব্য সত্য হলে নির্বাচন বিতর্কিত হতে পারে। তবে অভিযুক্ত জামায়াত নেতার দাবি, সেদিনের অনলাইন বৈঠকে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কোনো বিষয় ছিলো না। 

 

এই অভিযোগের বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর মো. আব্দুল জলিলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ঢাকা মহানগন দক্ষিণের সেক্রেটারি ও পটুয়াখালী-২ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ কথা বলেছেন যমুনা টেলিভিশনের সাথে। তার দাবি, আলোচিত বৈঠকে শুধু নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নয়, বরং ডাক্তার ও ইঞ্জিয়ারদের সংগঠনও যোগ দিয়েছিল। 

 

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কনভেনশনাল ব্যাংকসহ আমাদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার ও পেশাজীবীদের যে সংগঠনগুলো রয়েছে, আমরা মাঝেমধ্যেই আলোচনায় বসি। এগুলো রেগুলার প্রোগ্রামেরই একটা অংশ। তিনি দাবি করেন, বৈঠকে একটি প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনি কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। সেটা কোনোভাবেই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আলোচনা নয়।

 

ড. শফিকুল আরও বলেন, যদি কেউ ভট দিতে চায় কিন্তু তার কোন দায়িত্ব পড়ে, তাহলে তিনি ভোট দিতে পারবে না। এক্ষেত্রে সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গিটা কি, সেটি আমরা পরিষ্কার করেছি। আপনি ভোট দিতে চাইলে আপনাকে দায়িত্ব থেকে আপনাকে ফ্রি থাকতে হবে। আর যদি মনে করেন সামগ্রিক প্রয়োজনকে সামনে রেখে দায়িত্ব পালন করা দরকার, সেক্ষেত্রে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ইলেকশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বা এ ধরনের কোন বিষয় এখানে আলোচনা করা হয়নি। 

 

এই অবস্থায় আসন্ন ভোটে নির্বাচনি কর্মকর্তা হিসেবে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।