ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৩০শে অক্টোবর ২০২৫, ১৬ই কার্তিক ১৪৩২


টম প্যাক্সটনের জন্মদিন আনমনে প্যাক্সটন, গান মনে অরুনেন্দু


৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:১৮

সংগৃহীত

সারারাত আমি হই শুধু আমার

নির্ঘুম নির্জনতায় বাড়ে আঁধার

কাটে না, কাটে না যে সময়

অস্থির ভাবনারা ঘিরে রয়

অনুভব শুধু এক ব্যথাভার

নির্ঘুম নির্জনতায় বাড়ে আঁধার

 

আসে না সে তো আর, যে আসার

নির্ঘুম নির্জনতায় বাড়ে আঁধার..'

 

গানে যদি থাকে প্রাণের তাগিদ কিংবা প্রাণ যদি বয় গানের গাঙ্গে, তবে কি তা প্রশান্তির? গান যদি কানের ভেতর দিয়ে মর্মে গিয়ে পৌঁছায়, পায় পরিপূর্ণতা। একটা গান 'গান' হয়ে উঠেছে কিনা, তা অনুভব করা যায়। যেভাবে অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত দেখলে বোঝা যায়, সাধনার অপূর্ব সম্ভার। এখানে ঘণ্টা বাজাতে গেলে পাহাড়ি পাতা ছোঁয়ার আড়ম্বর নেই। কিন্তু ফেনার রঙ দেখলে চোখ ফেরানো দুঃসাধ্য। তবে এমন ভ্রমণের জন্য প্রাণশক্তি থাকাও প্রয়োজন। তখন 'আসে না, সে তো আর' শুনে আপনি হয়তো মুষড়ে পড়বেন কিন্তু মচকাবেন না। 'অনুভব শুধু এক ব্যথাভার' আপনার কান বেয়ে এক নিমিষে ছুটে যাবে কাঁধে। আপনি তখন টের পাবেন সেই পাথর বহনের ভার। বাংলায় মডার্ন মিউজিক যার হাত ধরে প্রায় সাবালক হয়ে ওঠে, আপনি গড়াগড়ি খাবেন সেই অরুনেন্দু দাসে।

 

শোনা যাক দুয়েকটা গান আরও—

 

'দিশেহারা যে মোর মন, কীসে সার্থক এ জীবন

খুঁজে ফিরি কোথা নেব ঠাঁই

চারিদিকে সবাই মোর, কেউ ভালো, কেউ মন্দ ঘোর

আপন মান যেচে সেথা বেড়াই

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই

এতো চাওয়া নিয়ে কোথা যাই?'

 

অরুনেন্দুর আরেক জনপ্রিয় গান। জীবনমুখী গানটার মূল শিল্পী টম প্যাক্সটন (আই কান্ট হেল্প বাট ওয়ান্ডার..)। আপনি কি মার্কিন এই সিঙ্গার-সং রাইটারের নাম জীবনে প্রথম শুনলেন? তাহলে বলি– কিছু কিছু বৃষ্টি চঞ্চল করে তোলে হাওরের বুক, কিছু কিছু সলতের জলসায় জ্বলে ওঠে অতীন্দ্রিয় দীপ, তেমনই এক বৃষ্টি বা সলতের নাম প্যাক্সটন।

 

ছোটবেলা থেকে সংগীতের প্রতি যার ছিল নিগূঢ় আকর্ষণ। সংগীত যার কাছে বুদ্বুদ ওঠা জলাধার। এক আত্মীয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন একটা ছোট্ট উকুলেলে। সেই উকুলেলে প্যাক্সটনের জীবনের গতিপথ ঠিক করে দেয়। সেখান থেকেই শুরু হয় সংগীতের সঙ্গে তার গাঁটছড়া বাঁধা।