জুলাই সনদে প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সই

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এ স্বাক্ষর করেছেন। তাদের সইয়ের পর প্রধান উপদেষ্টা অ্যধাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তারা সই করেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার পরপরই তারা সনদে সই করেন।
জুলাই সনদ তৈরিতে আলোচনায় ৩৩টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও এই অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি বামপন্থী দল যোগ দেয়নি। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল যোগ দিয়ে তাদের দুইজন করে প্রতিনিধি সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ; জামায়াতের পক্ষে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের; এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসানসহ বিভিন্ন দলের নেতারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন।
সই করার পর উপস্থিতিদের উদ্দেশে নেতারা হাত উঁচু করে জুলাই সনদ দেখান।
গণঅভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে গঠন করা ৬টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
এসব আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়। এরপর এই ৮৪ প্রস্তাবকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই সনদের খসড়া তৈরি করে ঐকমত্য কমিশন। খসড়ার ওপর আবার আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেয়া হয়।
সব দলের মতামত পর্যালোচনা করে জুলাই জাতীয় সনদ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গত মঙ্গলবার সনদের চূড়ান্ত কপি সব রাজনৈতিক দলকে দেয়া হয়।
এদিকে, জুলাই সনদ সাক্ষর অনুষ্ঠান বিকেল চারটায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে, বিভিন্ন দাবিতে জুলাই যোদ্ধা পরিচয়ে একদল লোক বেলা ১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নিলে পুলিশ ও তাদের মধ্যে মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
তারপর নামে বৃষ্টি। সবমিলিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বিকেল সাড়ে চাটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা মঞ্চে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যে জাতীয় সংগীত পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।