ঢাকা সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


৭ মার্চের ভাষণ মানুষকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী


৭ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩৯

সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জনগণকে শুধু অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধই করেনি গেরিলা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে। যুদ্ধে বিজয় এবং স্বাধীনতাও এনে দিয়েছে। এটাই ছিল সবচেয়ে বড় কথা।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। দীর্ঘ ২৪ বছরের সংগ্রাম এবং রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। সংগ্রামের পথ বেয়ে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়েছে মাতৃভাষায় কথা বলার এবং আমাদের স্বাধীনতার অধিকার।

তিনি বলেন, জাতির পিতা সেই ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আর পরাধীন থাকা যাবে না। বাঙালি জাতিকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি দিতে হবে। আর সে চিন্তা থেকেই তিনি ধাপে ধাপে এদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন স্বাধীনতার চেতনায়। তিনি তার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। আর তারই অংশ হচ্ছে ৭ মার্চ।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতা কী বলেছিলেন তার বারবার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। এমনকি পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা যারা পরবর্তীকালে বই লিখেছেন তারাও তাদের বইতে লিখেছেন- ‘উনি যে কী বলে গেলেন আমরা স্তব্ধ হয়ে থাকলাম, আমরা কোনো অ্যাকশনই নিতে পারলাম না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ব্যাখ্যা খুঁজতে খুঁজতে পাকিস্তানিদের সময় চলে যায়। বাঙালিরাও যুদ্ধে নেমে পড়লো। বঙ্গবন্ধু একাধারে যেমন স্বাধীনতার জন্য জাতিকে প্রস্তুত করেন, তেমনই যেন বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত হতে না হয় এবং জনগণ তৎক্ষণাৎ যেন পাকিস্তানি বাহিনীর সরাসরি আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না হয় সে ব্যাপারেও প্রজ্ঞার পরিচয় দেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ স্বাগত বক্তৃতা করেন।

জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে শোনানো হয়।

নতুনসময়/এএম


প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু, ৭ মার্চ ভাষণ, যুদ্ধ