ঢাকা বুধবার, ৩০শে জুলাই ২০২৫, ১৫ই শ্রাবণ ১৪৩২


নির্বাচনে দলীয় মতের ঊর্ধ্বে ডিসি-এসপিদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সিইসির


১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৮

ছবি সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দায়িত্বপালনকালে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের দলীয় মতের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী বক্তব্যে এমন নির্দেশনা দেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, প্রশাসনে বা সরকারে, পুলিশ এবং নির্বাহী প্রশাসনের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। আমি অনেককেই বলি, যখন আমরা সরকার বলি, সরকার বলতে আমরা এসপি এবং ডিসিকেই বুঝি, ছোট বেলা থেকেই। কারণ ছোট্ট যে সরকারটা পড়ে আছে কেবিনেটে ওটার সঙ্গে আমাদের জনগণের সংশ্রব ওভাবে হয় না।  

 

সিইসি বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া কেবল ভাগ্যের কথা বলবো না, আপনাদের গুণের ব্যাপার। মনে রাখতে হবে আপনারা সরকারি কর্মকর্তা, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। আপনারা কোয়ালিফাই করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এটি অহংকারের নয়, সন্তুষ্টি প্রকাশ করার বিষয়।

সিইসি আরো বলেন, কোনো সন্দেহ নেই নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন কর্মযজ্ঞ। চাইলাম হইয়া গেল এরকম নয়। আপনারা যারা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এবং আপনাদের সহকর্মীদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর অনেকটা ঘুমই হারাম হয়ে যাবে। যেহেতু এই দায়িত্ব আপনাদের এবং আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, কাজেই দায়িত্বটা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের হওয়ার অর্থ নির্বাচন অবাধ এবং সুষ্ঠু হয়েছে। সিইসি হিসেবে অনুরোধ থাকবে, অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচনটা ফেয়ার হয়েছে এটা জনগণকে দেখতে হবে। জনগণকে দেখতে হবে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পেরেছে। এইটুকু যদি আমরা জনগণকে দেখাতে পারি, কে নির্বাচনে এলো, কে এলো না, জনগণ যদি আসেন, ভোটাররা যদি আসেন, তারা যতি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তাহলে নির্বাচনে বড় সফলতা আসবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রায় ১২শ নির্বাচন আমরা করেছি। সেখানে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি, এতে সত্যিই কৃতজ্ঞ। দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের, সরকারের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তা-ভাবনার ঊর্ধ্ব থেকে পক্ষপাতহীন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হবেন। কোনো অনিয়ম, সহিংসতা হবে না শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এটাই প্রত্যাশা করছি।

এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইটিআই মহাপরিচালকসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ডিসি, এসপি, বিভাগীয় কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।