গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি এবং গণতন্ত্র অর্জন করেছি। আমরা গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে লড়াই করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষেপে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর সামরিক শাসকরা অস্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে এবং বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল গঠন করে।২০০৭-২০০৮ সালের সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরতে বাধা দেয়া হয়েছিল। দেশে ফিরলে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মৃত্যুর হুমকি উপেক্ষা করে জনগণের জন্য দেশে ফিরে আসি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ন্যায় মানুষের মৌলিক অধিকার- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করাই তাঁর সরকারের মূল লক্ষ্য বলে জনান শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছি।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী ইউএসএআইডির সাবেক ডেপুটি এ্যাডমিনিস্ট্রেটর বনি গ্লিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

তিনি বলেন, কূটনীতিকসহ সকল অংশীজনের সাথে কথা বলেছি।আমাদের লক্ষ্য হল সকল অংশীজনের কথা শোনা।

বনি গ্লিক বলেন, আমরা মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি না, ব্যক্তিগত ক্ষমতাবলে এখানে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মূল লক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে যেন ক্ষমতার হস্তান্তর হয়।

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল এফ ইন্ডারফার্থ বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কিছু অন্তর্নিহিত সমস্যা আছে। এ সমস্যাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও রয়েছে।

অনেক ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল।

এ সময়  প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

---