ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত


২৯ জুন ২০২৩ ১৪:৩৫

ছবি সংগৃহীত

জতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ঢাকার তেজগাঁও রেলওয়ে জামে মসজিদের খতিব ড. মাওলানা মুশতাক আহমেদ। বিকল্প ইমাম ছিলেন ঢাকার মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামানকে।  মূল ক্বারীর ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের সিনিয়র ক্বারী মো. এমদাদুল ইসলাম।বিকল্প ক্বারী হিসেবে রাখা হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাককে। মূল উপস্থাপক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক উপ-পরিচালক এস এম সালাহ উদ্দীন। 

প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, মন্ত্রিসভার সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার নানা বয়সী মানুষ জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।

ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করতে ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জাতীয় ঈদগাহে সমবেত হন।

ধনি-গরীবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে পরিবার-পরিজন, দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া চেয়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন। 

মোনাজাত শেষে সবাই পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রতিবারের মতো এবারও পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্য ঈদের নামাজের বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। 

অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহ ঘিরে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের সড়কগুলো সাজানো হয় নতুন সাজে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, জাতীয় ঈদগাহে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া, মুসল্লিরা মূল প্যান্ডেলের বাইরে নামাজ পড়েছেন।

এবারে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের জন্য ভিআইপি গেট ছিল একটি। পাশাপাশি জনসাধারণের জন্য একটি এবং নারীদের জন্য পৃথক একটি গেট রাখা হয়। এছাড়া, ঈদ জামাতে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ভিআইপি পুরুষ কাতার ছিল পাঁচটি এবং নারীদের জন্য কাতার ছিল একটি। জনসাধারণের জন্য পুরুষদের ৬৫টি বড় আকারের কাতার ছিল। ৫০টি ছোট আকারের নারীদের কাতার ছিল। অজুখানায় একসঙ্গে প্রায় ১১৩ জন পুরুষ ও ২৭ জন নারীর পৃথক স্থানে অজু করার ব্যবস্থা ছিল।