ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও সংযুক্তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল, ক্ষতিপূরণ দাবি


২৬ জুন ২০২৩ ০০:০৩

রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতাল এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহার রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন হাসপাতালটিতে সন্তান জন্ম দিতে এসে মারা যাওয়া মাহবুবা রহমান আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী। আজ রোববার বিএমডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

বিএমডিসিতে দেওয়া লিখিত আবেদনে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও নবজাতককে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল ও ডা. সংযুক্তা সাহার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। আর কোনো হত্যাকাণ্ড যাতে না ঘটে সে জন্য হাসপাতালগুলোতে আলাদা মনিটোরিং সেল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

রোববার (১৮ জুন) দুপুরে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহবুবা রহমান আঁখি মারা যান।

জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে সেন্ট্রাল হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইডেন কলেজের ছাত্রী গৃহবধূ মাহবুবা রহমান আঁখি। তার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তার সন্তান প্রসব সম্ভব বলে আশ্বস্ত করেছিলেন ডা. সংযুক্তা সাহা।

প্রসব ব্যথা ওঠায় গত ৯ জুন রাত ১২টা ৫০ মিনিটে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে ভর্তি করা হয় মাহবুবা রহমান আঁখিকে। তখন ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) কাজ করছেন। আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী বলেন, আঁখিকে যখন ওটিতে ঢোকানো হয় তখনো ডা. সংযুক্তা সাহা হাসপাতালে আছেন কি না জানতে চাই। কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি আছেন এবং তিনিই চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন না। রোগীর কোনোরকম চেক-আপ ছাড়াই ডেলিভারির কাজ শুরু করে দেন অন্যরা।

এ সময় ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করা হয়। এতে বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।

এ অব্স্থায় স্বামী ইয়াকুব আলী সেন্ট্রাল হাসপাতালের কোনো সহযোগিতা না পেয়ে পরে তার স্ত্রীকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগ এনে গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে ধানমন্ডি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন ইয়াকুব আলী সুমন।