ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ময়লার বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ বাড্ডার বাসিন্দারা


৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:২৩

ফাইল ছবি

উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ। গত তিনমাস ধরে আগে তিনি ৭ তলা ফ্ল্যাটের তিনতলায় বসবাস করছেন। কিন্তু এ এলাকার ময়লার বিল শোনার পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। উপায়হীন হয়ে দিয়েও যাচ্ছেন। কিন্তু ঢাকার অন্যান্য এলাকার চাইতে এ এলাকার বিল এতকেন এ প্রশ্নের উল্টর তিনি পাননি।

আব্দুল হামিদ জানান, ময়লার বিল প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তিনতলার বাসার গেটের সামনে থেকে দারোয়ান ঝুড়িতে করে ময়লা নিয়ে যায় এ জন্য প্রতিমাসে তাকে দিতে হয় একশ’ টাকা। আর বিল ৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিমাসে ময়লার বিল বাবদ দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা।

হামিদ জানান, এর আগে বনশ্রী এলাকাতে ছিলেন। সেখানে প্রতিমাসে ময়লার বিল ছিল ১৫০ টাকা। সবমিলিয়ে ২০০ টাকা। এখন এই এলাকায় ৪০০ টাকাই বেশি। কেন এতবেশি ময়লার বিল এ উল্টর কেউ দিতে পারেনি।

শুধু আব্দুল হামিদ নয়, পুরো বাড্ডা এলাকায় ময়লার বিল নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তারা বলছেন, কোথাও ৪০০ কোথাও ৫০০ টাকা ময়লার বিল। ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের বাসা থেকে ময়লা নিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা ১০০ টাকা। অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা শুধু ময়লার বিলই গুনতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় যেখানে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা সেখানে বাড্ডায় এতবেশি ময়লার বিলে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

আমিনুল ইসলাম নামের এক বাসিন্দা জানান, ময়লার বিল নিয়ে জনগনের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। আমরা বার বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিকট যোগাযোগ করেও এর কোন সুফল পায়নি।

মাসের ৫ তারিখ হলেই বিলের জন্য দরজায় কড়া নাড়ে। কিন্তু বিল কেন বেশি এর কোন উত্তর দেয়না কেউ।

তিনি বলেন, আমরা এক প্রকার জিম্মি। জিম্মি থেকে মুক্তির কোন পথও নেই।

স্থানীয় শফিকুল ইসলাম বলেন, ময়লার টাকাকে কেন্দ্র কওে বেশ কয়েকবার স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভও করেছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই অন্যান্য এলাকার চাইতে ময়লার বিল বেশি দিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুরো বাড্ডা এলাকা থেকে ময়লার বিল বাবদ প্রায় কোটি টাকা উঠে মাসে। কিন্তু কে বা কারা নেয় এ টাকা এটি ঠিকমত জানতেও পাওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে তিনি উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

এদিকে বাসা বাড়ি থেকে ময়লা নিয়ে ছোটন নামের এক যুবক জানান, তারা শুধু গাড়িতে করে ময়লাই নিয়ে যান। বিলের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেন না।

কাউন্সিলর মাসুম গনি তাপসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।