গাইবান্ধায় ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তে ইসির পাশে সাবেকরা

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও কমিশনাররা বর্তমান কমিশনকে সমর্থন দিয়েছেন।
আজ বুধবার এ কথা জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাবেক তিন সিইসি এবং ইসিসহ ১৪ জনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যে অ্যাকশনটা নিয়েছি, উনারা বলেছেন এটা সঠিক হয়েছে। আইনগতভাবে ও সাংবিধানিকভাবে ঠিক হয়েছে। উনারা আমাদের মুরব্বিজন, গুরুজন হিসেবে পরামর্শ দিয়েছেন-সততার সাথে, সাহসিকতার সাথে আমাদের এগিয়ে যেতে বলেছেন।’
গাইবান্ধায় ভোট বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটা ক্রিটিক্যাল ছিল। প্রথমবারের মতো বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশন নিয়েছে এবং এটা যথেষ্ট সেনসেশন ক্রিয়েট করেছে সর্বমহলে। এটা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘আজ আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কোনো বক্তব্যই দিইনি; তাদেরকে শুনেছি। সার্বিক কথা হয়েছে। গাইবান্ধাতে যে একটা ঘটনা ঘটে গেল, আমাদের প্রয়োজন ছিল আরও এনলাইটেন্ড হওয়া; উনাদের তরফ থেকে কোনো গাইডেন্স আছে কিনা, কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন অতটুকু জেনেছি।’
১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় সিইসির দায়িত্বে থাকা বিচারপতি আব্দুর রউফ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের এই অধিকার আছে (ভোটগ্রহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত)। তাদের চোখের সামনে ধরা পড়ছে- ভোট দিতে পারছে না, কারচুপি হচ্ছে। তারা নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা বলেছি, দরকার হলে বার বার বন্ধ করবেন। জাতিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন।’
১০ম সংসদ নির্বাচনের সময় সিইসির দায়িত্বে থাকা কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এ সময় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সাংববিধানিক বডি। সংবিধান ও আইন মোতাবেক তারা কাজ করে যাবে- আমরা এই পরামর্শ দিয়েছি।’
একাদশ জাতীয় সংসদের সময় সিইসির দায়িত্ব পালন করা কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘গাইবান্ধা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার এই ক্ষমতা আছে।’