ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


চাপের মুখে ঢাকার নবনির্বাচিত দুই মেয়র


৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৩৩

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা সিটি নির্বাচনে কম ভোট পড়ায় নবনির্বাচিত দুই মেয়র চাপের মুখে রয়েছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করাই হবে তার প্রথম কাজ। আর সেবা সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সমন্বয়ের আশ্বাস দিলেন দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপস।

মিটেছে ভোটের হিসেব-নিকেশ। ঢাকাবাসী পেয়েছে দুই নগরপিতা। ক্ষমতাসীন দলের দুই নবনির্বাচিত মেয়রই তাদের ইশতেহারে দেখিয়েছেন আধুনিক ঢাকার স্বপ্ন। অপেক্ষা এখন শপথের। ঠিক এই মুহূর্তে কি ভাবছেন তারা।

নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করাই নিজেদের প্রথম কাজ মনে করেন দক্ষিণের মেয়র। আর উত্তরের মেয়র বলছেন নগরে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা আর তাদের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি, প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক নাগরিক সেবাগুলো ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। আমরা সেইভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কাজ শুরু করবো।

আতিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি আমি হবো, সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সরকারি সংস্থারগুলোকেই দিতে হবে। এখানে কথা কিন্তু পরিষ্কার, সংস্থাগুলো যদিও আমার নিয়ন্ত্রণে না, তারপরও জবাব তাদেরই দিতে হবে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য আমাকে নমিনেশন দিয়েছেন। এবং আমি জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছি। সুতরাং সমন্বয় আমাকে করতেই হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনে ভোটারদের কম উপস্থিতি চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে নতুন মেয়রদের। পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নই হতে পরে ভোটারদের মন ফেরানোর উপায়।

স্থপতি ও নগর বিশেষজ্ঞ ইকবাল হাবিব বলেন, নিজে হেঁটে চলে, দেখে শুনে সমীক্ষা নির্ভর পরিকল্পনার প্রণয়ন করা এখনই সময় এবং সেই কাজটি যদি মেয়ররা করেন, তাহলে আমি মনে করি নগরী তার প্রাণ ফিরে পাবে। ভোটের মধ্যে যুক্ত না হয়ে, মানুষ যে পরিষ্কার সিগন্যাল দিয়েছে, সেটা এখনই অনুভব করা প্রয়োজন। ১৬ থেকে ১৭ পারসেন্ট ভোটে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলদের কাছে এর চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে না।

মে মাসের মধ্যেই নব নির্বাচিত দুই মেয়র শপথ নেবেন।