আবারো স্কুলে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবারো একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো বহু মানুষ। এছাড়া বেইত হানুনে ইসরায়েলি হামলায় আরো তিনজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জাবালিয়া প্রিপারেটরি স্কুলকে লক্ষ্য করে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ করেছে এবং এতে অন্তত ১০ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটির হামলায় ১৭ দিনে উত্তর গাজায় ৬৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত এই স্কুলটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
ওয়াফা বলেছে, উত্তর গাজার আরেক শহর বেইত হানুনের কেন্দ্রস্থলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) বলেছে যে তারা উদ্বিগ্ন ইসরায়েল ‘মৃত্যু ও বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় গভর্নরে ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার ধ্বংসের কারণ হতে পারে। বিশেষ করে জাবালিয়া, বেইত হানুন এবং বেইট লাহিয়ার জনগণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে গাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নজিরবিহীন হামলার মধ্য দিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল। এরপর থেকে টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই সংঘাতের ফলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার মানুষ।
ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় ফিলিস্তিনি ছিটমহলটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। আজ হামলার বছরপূর্তি হলেও এখনো যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো প্রতিদিন শোনা গেছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও মৃত্যুর খবর।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের পরিমাণ চার কোটি ২০ লাখ টনেরও বেশি হবে। এসব ধ্বংসস্তূপ ২০০৮ থেকে গত বছর যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে সঞ্চিত আবর্জনার ১৪ গুণ এবং ২০১৬-১৭ সালে ইরাকের মসুলে হওয়া যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপের পাঁচ গুণের বেশি।