ঢাকা মঙ্গলবার, ২১শে মে ২০২৪, ৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আড়াই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের


১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৯

সংগৃহিত

ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়া অস্ত্র সংগ্রহে সাহায্যের অভিযোগে তুরস্ক, চীন ও আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের আড়াই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়া শতাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর আল জাজিরার।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র ও অর্থ দপ্তর মঙ্গলবার এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পে পণ্য ও সেবা সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির শক্তিমত্তা বাড়ানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়া অস্ত্র সংগ্রহের যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, তাতে বাধা দিতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ক্রেমলিন ক্রমাগতভাবে রাশিয়াকে একটি যুদ্ধকালীন অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছে। কিন্তু পুতিনের যুদ্ধযন্ত্র একা অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে টিকে থাকতে পারে না।

মার্কিন অর্থ দপ্তর জানায়, রাশিয়ার জন্য অস্ত্র সংগ্রহে জড়িত চারটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি চীন, রাশিয়া, হংকং ও পাকিস্তানের নয় ব্যক্তি এ নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। এছাড়া সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ‘থামেস্টোন’ ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘মাইক্রো ইলেকট্রনিকস টেকনোলজিসের’ ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া একটি নেটওয়ার্ক চীন, রাশিয়া, হংকং ও পাকিস্তানভিত্তিক। এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের তৈরি অস্ত্র ও প্রযুক্তি রাশিয়ায় সরবরাহ করেছে। নেটওয়ার্কটির আওতায় রয়েছেন চীনের নাগরিক হু জিয়াওজান ও চীনভিত্তিক বেসরকারি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘জার্ভিস এইটকে কোম্পানি’।

এ নিয়ে আলাদা এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার নানা অপরাধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধে যারা মস্কোকে সমর্থন ও অর্থ দিচ্ছে, তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো ব্যবহার করতে থাকব।

প্রসঙ্গত, এ নিষেধাজ্ঞা এমন সময় ঘোষণা করা হলো, যখন আরও সামরিক সহায়তা পাওয়ার আশায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন।

নতুনসময়/আইএ