ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


গাজায় অস্ত্রবিরতিতে জাতিসংঘের প্রশংসা


১০ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৪

গাজায় অস্ত্রবিরতিতে উভয় পক্ষ সম্মত হওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যকার চলমান সংকট সমাধানে মিসরের ভূমিকারও প্রশংসা করেছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি হামলার ফলে হতাহতের প্রতি এবং একই সাথে গাজার জঙ্গিগোষ্ঠী দ্বারা ইসরায়েলে রকেট হামলার ঘটনায় গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে জাতিসংঘ।

এর আগে সোমবার (৮ আগস্ট) নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেন ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও মিসরের প্রতিনিধিরা। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনে হতাহতের তথ্য তুলে ধরেন জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি টর ওয়েনসল্যান্ড। তিনি জানান, ৫ আগস্ট থেকে উপত্যকায় ১৪৭টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিরাও ছুড়েছে প্রায় ১১০০ রকেট ও মর্টার।

টর জানান, তিনদিনের এই সংঘাতে ৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩৬০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৭০ জন ইসরায়েলিও আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিধ্বস্ত হয়েছে দুই অংশের বেশ কয়েকটি বেসামরিক ভবন। তবে এই অস্ত্রবিরতির স্থায়ীত্ব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন জাতিসংঘের প্রতিনিধি। তিনি বলেন, দু’পক্ষের শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে রাজনৈতিক সমাধান কঠিন।

জাতিসংঘে টর বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে মিসরের উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও প্রশংসাযোগ্য। সবার সম্মিলিত পদক্ষেপেই পূর্ণ একটা যুদ্ধ এড়ানো গেছে। তবে অস্ত্রবিরতি চুক্তিটি আসলে বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। শত্রুতাপূর্ণ আচরণ যেকোনো সময় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলে ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। এতে উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪৪ এ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনও। এই হামলার জবাব স্বরূপ ফিলিস্তিন থেকেও ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট ছোড়া হয় ইসরায়েলের দিকে। এ পরিস্থিতিতে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ আঁচ করে দুই দেশের অস্ত্রবিরতির জন্য সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েও গাজায় গোপনে হামলার অভিযোগ আছে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে।